ঢাকা: সিঙ্গাপুর, কানাডা, ভারতে অর্থপাচারে আরও ৮৩ জন প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারকে সহযোগিতা করেছেন।
শনিবার (১৬ জানুয়ারি) হাইকোর্টে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন দিয়েছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেনস ইউনিট (বিএফআইইউ)।
অন্যদিকে গত সোমবার দুদকের জব্দ করা ৭৬৯ কোটি টাকার বিষয়ে পিকে হালদারের সহযোগী বাসুদেব ব্যানার্জী ও পাপিয়া ব্যানার্জীকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা থাকলেও দুদকে হাজির হননি কেউ।
অভিযোগ রয়েছে, আদালতের আদেশে যে ১৭টি কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ হয় সেখানে অবন্তিকার নামেও শেয়ার রয়েছে। সুখদা লিমিটেডে পিকে হালদারের ৯০ শতাংশ ছাড়াও মা লীলাবতী হালদার ও অবন্তিকারও শেয়ার ছিল বলে অনুসন্ধানে পাওয়া যায়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী সব মিলিয়ে ১০ হাজার ২০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। এর মধ্যে পিকে হালদারের ৪০টি ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে ঋণ নেওয়া ছাড়াও তার মা লীলাবতী হালদারের ৩টি ব্যাংক হিসাবে ১৬০ কোটি টাকা জমা হয়। একইভাবে স্বজনদের বিভিন্ন কোম্পানির নামে করা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক এমডি পিকে হালদার ও তার সহযোগীদের ১৭টি ভুয়া কোম্পানির নামে থাকা ৫৮টি ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন হয়। এ ছাড়া এসব প্রতিষ্ঠানের যেসব শেয়ার কেনা হয় তার প্রত্যেকটিতেই পিকে হালদার সিংহভাগের অংশীদার। এর মধ্যে সুখদা লিমিটেডের শেয়ার রয়েছে অবন্তিকা বড়ালের নামে।
-বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক