Home চট্টগ্রাম আনন্দবাজার ময়লার ডিপোর আধুনিক ব্যবস্থাপনার প্রতিশ্রুতি প্রার্থীদের

আনন্দবাজার ময়লার ডিপোর আধুনিক ব্যবস্থাপনার প্রতিশ্রুতি প্রার্থীদের

আনন্দবাজারে ময়লার ভাগাড়


নাজমুল হোসেন

চট্টগ্রাম:
সিটি কর্পোরেশনের ৩৭নং ওয়ার্ড উত্তর মধ্যম হালিশহর। মুনির নগর ওয়ার্ড নামে পরিচিত এ ওয়ার্ডের পশ্চিমে রয়েছে সমুদ্র। সাগরপাড়ের বেড়িবাঁধ এলাকায় রয়েছে সৈয়দ মোঃ মুনিরউদ্দিন নূরুলউল্লাহ (রঃ) এর মাজার। প্রতিদিন চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এ মাজার জেয়ারতে আসেন বহু মানুষ। ওয়ার্ডটিতে রয়েছে বন্দরের স্টেডিয়াম ও হাসপাতাল। আছে বন্দর ও রেলওয়েতে কর্মরতদের বসবাসের জন্য কলোনি ও ঐতিহ্যবাহী হাজারি দিঘি।

সারা শহরের ময়লার ভার বহন করে এখানকার আনন্দবাজার ময়লা ডিপো।

ডিপোটিতে প্রতিদিন নগরীর নানা স্থান থেকে ট্রাকে ট্রাকে আসে ময়লা-আবর্জনা। ময়লার ডিপোটি এখন স্থানীয়দের স্বাস্থ্যের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষকেরা।

এ ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের অভিযোগ, এখানকার ড্রেনে জমে থাকে আবর্জনা।  নিয়মিত ঔষধ না ছিটানোর কারণে

মশার উৎপাত বেড়ে চলেছে। এলাকায় সুপেয় পানির সংকট দীর্ঘদিনের। বর্ষাকাল আসলেই জলাবদ্ধতার বিস্তীর্ণ এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যায়।
ওয়ার্ডের ভোটার সংখ্যা ২৭৪৭৫ জন। এদের মধ্যে  পুরুষ ১৪,৬৯১জন, মহিলা ১২৭৮৪ জন। মোট কাউন্সিলর প্রার্থী ৭ জন।


সাবেক কাউন্সিলর মোঃ শফিউল আলম দলীয় মনোনয়ন না  পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে  ঝুডি মার্কায় লড়ছেন। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রায়ত মোঃ হোসেন মুরাদ দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন। তিনি মারা যাওয়ায় মনোনয়ন পেয়েছেন আবদুল মান্নান। তিনি ঠেলাগাড়ি মার্কায় কাউন্সিলর পদে লড়ছেন। এছাড়া বিএনপি মনোনীত প্রার্থী বন্দর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ উসমান ঘুড়ি মার্কায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইনামুল হক মুনিরী রেডিও মার্কায়, মেজবাহ উদ্দিন আহম্মদ ব্যাডমিন্টন র‍্যাকেট মার্কায়, ইবনে মবিন ফারুক লাটিম মার্কায় ও সালাউদ্দিন বাবর মিষ্টি কুমড়া মার্কায় কাউন্সিলর পদে লড়ছেন।

আবদুল মান্নান জানান, নগরীর খুব গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্ড এটি। পুরো শহরের ময়লার শেষ আশ্রয় স্থান এই ওয়ার্ডের আনন্দবাজার এলাকায়। আমি নির্বাচিত হলে এই ভাগাড়টিতে অত্যাধুনিক প্রক্রিয়ায় ময়লা শোধন ব্যবস্থা করবো। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসে মানুষ এখানে বসবাস করে। তাদের জন্য একটি গণ-কবরের ব্যবস্থা করবো। এছাড়া এলাকার সার্বিক উন্নয়নের মাধ্যমে দলীয় সভানেত্রীর আস্থার প্রতিদান দিব, ইনশাআল্লাহ।

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সম্পর্কে তিনি জানান, স্বতন্ত্র হয়ে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইনামুল হক মুনিরী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও তিনি নির্বাচন না করে আমাকে সমর্থন দিবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। আরও ৩ জন বিদ্রোহী প্রার্থীর বিষয়ে দল থেকেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। তাছাড়া বিএনপি ও জামাত মনোনীত প্রার্থীর বিপক্ষে আমাকে লড়তে হচ্ছে।

ভোটের গণসংযোগ এক প্রার্থীর


এদিকে প্রচার প্রচারণায় অন্য প্রার্থীদের পোস্টার আর ব্যানারে এলাকা ছেয়ে গেলেও প্রচার প্রচারণায় পিছিয়ে রয়েছে বিএনপির মনোনীত  প্রার্থী মোঃ উসমান।

তিনি জানান, সীমিত পরিসরে প্রচার প্রচারণা পরিচালনা করছি । ময়লা আবর্জনার অব্যবস্থাপনা এলাকায় বড় সমস্যা। আমি নির্বাচিত হলে এই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করবো।

স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন বাবর জানান, অবহেলিত জেলে পাড়ার সকল খাতে উন্নয়ন ও স্বাস্থ্য ঝুঁকিপূর্ণ আনন্দ বাজার ময়লার ভাগাড়ের যথাযথ ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নিবো। এছাড়া শিক্ষা খাতে উন্নয়নেও বিশেষ গুরুত্ব দিবো।