আজ পাইনি, আগামীতে হয়তো পাবো
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, “নির্বাচন আসলে উত্তাপ থাকে।এ উত্তাপ যেন আত্মঘাতী না হয়। এ উত্তাপ যেন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, ব্যবস্থাপনা, সংস্কৃতিকে যেন ক্ষতিগ্রস্ত না করে। ইচ্ছে করলে মিছিল মিটিং ছাড়াও নির্বাচন করা যায়। এখন মিডিয়ার যুগ। ফেসবুকের যুগ। ম্যাসেজ পাঠাতে পারেন। সবাই প্রশাসনকে সাহায্য করুন। নির্বাচনের পর সবাই যেন একসঙ্গে আনন্দমুখর পরিবেশে কাজ করতে পারি।”
শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
সুজন বলেন, এ নির্বাচনে সবাই অংশগ্রহণ করছে। চট্টগ্রাম ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। আগামী ৫-১০ বছরের মধ্যে এ চট্টগ্রাম হবে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার শ্রেষ্ঠ যোগাযোগ কেন্দ্র। এটা উপলব্ধি করতে পেরেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল তৈরি করছেন। মাতারবাড়ীতে সমুদ্রবন্দর হয়ে গেছে। সেখানে আলাদা জগত গড়ে উঠেছে। মিরসরাই স্পেশাল ইকোনমিক জোনে সারা পৃথিবীর ইনভেস্টরার ছুটে আসছেন। এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর প্রথম নির্বাচনী ইশতেহারে ২৮ দফার অন্যতম ছিল- পতেঙ্গা থেকে ফেনী হাইওয়ে পর্যন্ত বাইপাস করা। মহিউদ্দিন চৌধুরী আজ বেঁচে নেই। কিন্তু সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন নেত্রী। একের পর এক এক্সপ্রেস ওয়ে হচ্ছে। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ হচ্ছে।
এবার আমার জীবনের কঠিন সময়। এবার নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারছি না। যেহেতু আমার একটি দায়িত্ব আছে। আমার ভেতরে যে কষ্ট, খাঁচার পাখির মতো বন্দিশালায় আছি। সবাই মিছিল করছে, মিটিং করছে আমি দেখছি। আমার ভেতরের ছটফটানি কাউকে দেখাতে পারছি না।
স্মৃতিচারণ করে তিনি আরো বলেন, অষ্টম শ্রেণি থেকে রাজনীতি করছি। সত্তরের নির্বাচনে তিন পোলের মাথায় দেশবাংলা হোটেলে দুইটা নানরুটি আর এক বাটি ডাল খেয়ে ঘোড়ার গাড়িতে পাবলিসিটি করেছি। স্থানীয়, জাতীয় নির্বাচন যাই হোক মনোনয়ন না পেয়েও কোনোদিন ঘরে বসে থাকিনি। অভিমান করে বসে থাকিনি। পলিটিক্স, নির্বাচন চলমান প্রক্রিয়া। হয়তো আজ পাইনি, আগামীতে পাব। আধুনিক রাষ্ট্রে দলের সিদ্ধান্তই হচ্ছে মুখ্য। সুতরাং দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে।