‘এই উদ্যোগ নতুন সিন্ডিকেট তৈরি করবে’
‘নেভিগেশনাল ফ্যাসিলিটেটরস’ ৫টি নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান
শিপিং এজেন্টদের জন্য ব্যবসায়ীক বিপর্যয় হবে
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: জাহাজের আউটসাইড মুভমেন্টে বেসরকারি পাইলটিং-এ বন্দরের নৌ বিভাগের উদ্যোগ বাতিলের জন্য নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছে বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস এসোসিয়েশন ( বিএসএএ )।
বিএসএএ আশংকা করছে, ঐ উদ্যোগ পাইলটিংয়ের জন্য একটি নতুন সিন্ডিকেট তৈরি করবে। যা বিদেশি প্রিন্সিপ্যালের কাছে শিপিং এজেন্টদের ভাবমূর্তির সংকট তৈরি করবে। সেই সঙ্গে শিপিং এজেন্টদের জন্য ব্যবসায়ীক বিপর্যয় ডেকে আনবে।
বেসরকারি পাইলটিং নিয়ে সার্কুলারে শিপিং এজেন্টদের মধ্যে যে ক্ষোভ বিরাজ করছে তার প্রেক্ষিতে রবিবার (৩১ জানুয়ারি ) প্রতিমন্ত্রী বরাবরে শিপিং এজেন্টস এসোসিয়েশন একটি পত্র দিয়েছে। সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ ইকবাল আলী পত্রটি দিয়েছেন।
এতে উল্লেখ করা হয়, জাহাজের আউটসাইড মুভমেন্ট-এর বিষয়টি বন্দরের নিরাপত্তা এবং বহির্বিশ্বে বন্দরের সুনামের সাথে সংশ্লিষ্ট। এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে শিপিং এজেন্টদের সাথে কোনরূপ আলোচনা না করে সেটা প্রতিপালনের দায়িত্ব ‘নেভিগেশনাল ফ্যাসিলিটেটরস’ নামে ৫টি নামসর্বস্ব, অনভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানের ওপর দিচ্ছে। এ ব্যাপারে মেরিনে বিভাগের সার্কুলারটি নিয়ে শিপিং এজেন্টদের তীব্র আপত্তি রয়েছে। পত্রে বলা হয়, বাস্তবসম্মতভাবে বন্দরেরে নিরাপত্তা ও গতিশীলতার জন্য যে কোন উদ্যোগকে স্বাগত জানায় এসোসিয়েশন। কিন্তু এটাকে নয়।
এ প্রসঙ্গে আরও জানানো হয়, মালিকের পক্ষে জাহাজের সব কাজের দায়ভার লোকাল এজেন্ট বহন করে। তাই অন্য কোন এজেন্টকে আলাদাভাবে নিয়োগের প্রয়োজন নেই।
প্রতিমন্ত্রী বরাবরে পত্রটিতে উল্লেখ করা হয়, শিপিং এজেন্টরা প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞ মাস্টার মেরিনার নিয়োগ করে জাহাজ কুতুবদিয়া থেকে বহির্নোঙরে আলফা অথবা ব্রেভো এ্যাংকরে নিয়ে আসে। যুগ যুগ ধরে প্রচলিত রয়েছে এ ব্যবস্থা। শিপিং এজেন্টরা জাহাজ মালিকের পক্ষে সকল দায়ভার বহন করে থাকে।
আলোচ্য সার্কুলারের ব্যাপারে এর আগে সংগঠনের ৮ সদস্য প্রতিষ্ঠান লিখিতভাবে আপত্তি জানিয়েছে এবং ৫৮ সদস্য যৌথভাবে আপত্তি জানায়। তারা সার্কুলারটির কার্যকারিতা স্থগিত চেয়েছে।
খোলাপণ্যবাহী বড় বড় যেসব জাহাজ আমদানি মালামাল নিয়ে আসে সেগুলো সরাসরি জেটিতে আসতে পারে না। বহির্নোঙরে কিছু মাল খালাস করে জেটিতে আসে অথবা সমূদয় পণ্য লাইটার করে ফিরে যায়। কুতুবদিয়া থেকে মাস্টার নিজেই জাহাজ নিয়ে আসে বহির্নোঙরে। সেখান থেকে যায় নির্দিষ্ট নোঙরে আলফা, ব্রেভো বা চার্লিতে। এই প্রক্রিয়া অর্ধ শতাব্দী ধরে। তবে, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এর পরিবর্তে তাদের সীমানায় জাহাজের আউটসাইড মুভমেন্ট নির্দিষ্ট ৫ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সরবরাহ করা পাইলট দিয়ে পরিচালনা বাধ্যতামূলক করার উদ্যোগ নেয়। তাতে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে শিপিং এজেন্টদের মধ্যে।