মিয়ানমারে নভেম্বরে হয়ে যাওয়া নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে ক্ষমতা দখলে নেয় দেশটির সেনাবাহিনী। দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া ও অভ্যুত্থান পরিস্থিতি আলোচনায় জরুরি বৈঠকে বসছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ।
মঙ্গলবার (০২জানুয়ারি) ফেব্রুয়ারি মাসের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতিত্বকারী জাতিসংঘে যুক্তরাজ্যের দূত বারবারা উডওয়ার্ড গণমাধ্যমকে একথা জানান।
জার্মানির সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বারবারা উডওয়ার্ড মিয়ানমার নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
অন্যদিকে মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুস ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এমন ভাষায় কথা বলতে হবে যাতে মিয়ানমারের জান্তা সরকার বুঝতে পারে। পূর্ব অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি, তারা (সেনাবাহিনী) অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার ভাষা বোঝে। সামরিক অভ্যুত্থানের ফলে গোটা জনগণকে আপনি আঘাত করতে পারেন না।’
জাতিসংঘ ও যুক্তরাজ্য এরই মধ্যে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতাগ্রহণের নিন্দা জানিয়েছে। এ ছাড়া দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ও মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চিসহ নির্বাচিত সরকারি দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের আটক করে সোমবার দেশটির ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী।
গেল বছরের নভেম্বরের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে ক্ষমতা দখলে নেয়। স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির দল এনএলডি অনিয়ম করে ওই নির্বাচনে একচেটিয়া জয়লাভ করেছে বলে অভিযোগ, দেশটির সেনাবাহিনীর।
-ডয়চে ভেলে।