Home Second Lead রাস্তাঘাট পরোটা নয়, ধুম করে বানিয়ে খেয়ে ফেললাম : সুজন

রাস্তাঘাট পরোটা নয়, ধুম করে বানিয়ে খেয়ে ফেললাম : সুজন

কর্মকর্তারা দিনের ১২টায়ও অফিসে আসে না
চসিকের মানসিকতা এখনও পৌরসভার মত
আমার ডাকে পৌরকর বাড়াতে মানুষ সাড়া দিয়েছেন

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম: সিটি কর্পোরেশনের বিদায়ী প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, সিটি কর্পোরেশনে দক্ষ জনবলের অভাব। নিয়োগের নিয়ম বালাই নেই। দক্ষ জনবল চসিকের বড় সম্পদ। চসিকের সম্পত্তি জনগণের সম্পদ। কিন্তু কর্পোরেশনের অনেক কর্মকর্তা দিনের ১২টায়ও অফিসে আসে না। আমি কয়েকদিন সোয়া ৯টায় গেট বন্ধ করে দিয়েছি। পৌরসভা থেকে চসিক হয়েছে কিন্তু মানসিকতা পৌরসভার। পরিচ্ছন্ন বিভাগে অতিরিক্ত জনবল আছে। সবসময় কাজে নেই, হাজিরা আছে।

বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) জামালখানের সিনিয়র্স ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ১৮ কোটি টাকা বেতন। মার্চ থেকে ১৯ কোটি হবে। জ্বালানি ও গ্যাসে তিন-সাড়ে তিন কোটি টাকা খরচ। আমার ডাকে পৌরকর বাড়াতে মানুষ সাড়া দিয়েছেন, আমি কৃতজ্ঞ। হোল্ডিং ট্যাক্সের জন্য আপিল বোর্ড বানিয়ে দিয়েছিলাম। আমি বলেছি যা দিতে চায় নিয়ে নেন। হোল্ডিং ট্যাক্স অটোমেশনে আনতে পারলে আরও বেশি আদায় করতে পারতাম। চট্টগ্রামের মানুষ লাইনে দাঁড়াতে চান না। অনেক কর কর্মকর্তাকে বদলি করেছি, অডিট করিয়েছি। অনেকে ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স ফি আদায় করে চসিকের বালামে তুলেনি। ব্যবস্থা নিতে কমিটি করে দিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, প্রডাক্টিভ পোর্টের জন্য গতিশীল শহর দরকার। পোর্ট ডিউস থেকে ১ শতাংশ সার্ভিস চার্জ দিতে হবে চসিককে। তাহলে ৭-৮শ’ কোটি টাকা আয় হবে চসিকের। কাস্টম হাউসের রাজস্ব থেকে ১ শতাংশ দিতে হবে চসিককে। ল্যান্ডর অব অরজিনকে সার্ভিস চার্জ দিতে হবে। ছেলে যেটা আয় করে তাকে মাছের মাথা খাওয়ায়। চট্টগ্রামের উন্নয়ন হলে সমগ্র দেশের উন্নয়ন হবে। ইপিজেডের ময়লা পরিষ্কার করবো, শ্রমিকদের আসা যাওয়ার ব্যবস্থা করবো। আপনার ট্রেড লাইসেন্স নিতে হবে। একেকটি কারখানা চসিককে বছরে ২ হাজার ডলার দিতে পারে৷ দরকার হলে আইন করা হোক। রড ফ্যাক্টরির ইয়ার্ড কি শহরের রাস্তাঘাট?

আমার বড় চ্যালেঞ্জ ছিল পিসি রোড, যেটি খালের ভিতর ছিল। এখানে অর্থের অভাব ছিল না। দুইজন ঠিকাদার ছিল অদক্ষ, এরমধ্যে একজন জিকে শামিমের পার্টনার। রাস্তাঘাট পরোটা নয়, ধুম করে বানিয়ে খেয়ে ফেলা যাবে। স্ট্যান্ড রোডের কাজ ৪০ ভাগ শেষ হয়েছে। করোনায় ঠিকাদার মারা যাওয়ায় কাজে ধীরগতি হয়ে পড়েছিল। সিটি কর্পোরেশন তদারকি করলে মার্চের মধ্যে ব্যবহার উপযোগী হবে বলে জানান তিনি।