বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি:
* ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম পড়বে ৭৯ হাজার ৩৬১ টাকা।
* সমিতি নেতৃবৃন্দ ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে মতবিরোধ।
* ১৫ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব: বাজুস সভাপতি এনামুল হক
ঢাকা: ভ্যাট ও মজুরিসহ স্বর্ণের অলংকারের নতুন দাম নির্ধারণের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। এটি বাস্তবায়িত হলে দেশে আবারো বেড়ে যেতে পারে স্বর্ণের দাম। তখন ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম গিয়ে দাঁড়াবে প্রায় ৮০ হাজার টাকায়।
বুধবার রাজধানীর একটি কনভেনশন সেন্টারে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সভাপতি এনামুল হকের সভাপতিত্বে অতিরিক্ত সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সমিতির নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ভ্যাট ও মজুরিসহ স্বর্ণের অলংকারের দাম পুনঃনির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত হলেও এতে দাম বেড়ে গিয়ে বাজারে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সমিতির নেতারা। বিষয়টি নিয়ে সমিতির শীর্ষ নেতৃবৃন্দদের মত থাকলেও প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের একটি অংশ এর বিরোধিতা করেন।
বর্তমানে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের অলংকারের দাম ৭২ হাজার ৬৬৬ টাকা। ভ্যাট ও মজুরি যোগ করলে স্বর্ণের অলংকারের নতুন নির্ধারিত দাম হবে ৭৯ হাজার ৩৬১ টাকা।
সমিতির নেতাদের একাংশের মতে, অনেক ক্রেতা ভ্যাট দিতে চান না। আবার অনেক সময় ভ্যাট পরিশোধে ব্যবসায়ীরাও দুর্নীতির আশ্রয় নেন। ভ্যাট আদায়ে স্বচ্ছতা আনতে রাজধানীর বিভিন্ন জুয়েলার্সে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) মেশিন বসিয়েছে। এ ব্যবসায় সামঞ্জস্য ও স্বচ্ছতা আনার জন্যই ভ্যাট, মজুরিসহ সোনার অলংকারের দাম নির্ধারণের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া ব্যবসায়ীদের মতে, ভ্যাট ও মজুরিসহ স্বর্ণের অলংকারের নতুন দাম নির্ধারণ করা হলে বাজারে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এ প্রক্রিয়ায় ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের অলংকারের দাম ৮০ হাজার টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়াল জানান, মজুরি নয়, শুধু ভ্যাটসহ সোনার দাম নির্ধারণের বিষয়ে আমরা চিন্তা ভাবনা করছি। বিষয়টি নিয়ে আবারো বৈঠকে বসবো। আমরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পরামর্শও নেব।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সভাপতি এনামুল হক জানান, ভ্যাট ও মজুরিসহ নতুন দাম নির্ধারণ করলে স্বর্ণের বাজারে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে। যদিও সভায় উপস্থিত প্রায় ৭০ শতাংশ ব্যবসায়ী সিদ্ধান্তের পক্ষে ছিল, বিষয়টি নিয়ে আমরা দ্বিধাগ্রস্ত। অনেকে আশঙ্কা করছেন যে, ভ্যাট ও মজুরিসহ দাম নির্ধারণ করা হলে ছোট ব্যবসায়ীরা ভয়াবহ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বিষয়টি নিয়ে কার্যনির্বাহী কমিটি ও শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।