পাকিস্তানকে এমনিতেও করোনার টিকা দেবে বলে চুক্তি করেছে চিন। গত রবিবারই টিকার পাঁচ লক্ষ ডোজ পৌঁছে গেছে ইসলামাবাদে। তবে পাক সেনাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা। খোদ চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি নাকি উদ্যোগ নিয়ে টিকার ডোজ পাঠাচ্ছে পাক সেনাবাহিনীকে। কিছুদিনের মধ্যেই টিকার কয়েক হাজার ডোজ পৌঁছে যাবে পাকিস্তানের সেনাঘাঁটিগুলিতে।
তবে পাক বাহিনী শুধু নয় কম্বোডিয়ার সেনাবাহিনীকেও দায়িত্ব নিয়ে টিকা পাঠাচ্ছে চিনের লাল ফৌজ। পাক সেনার সঙ্গে চিনের বাহিনীর গোপন আঁতাত অজানা নয়। বিশেষ করে ভারতের লাদাখ সীমান্ত নিয়ে অশান্তির আবহে পাক সেনাদের প্রতি একটু বেশিই বন্ধুত্ব দেখাচ্ছে লাল ফৌজ। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনের বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের সময়েই গিলগিট-বাল্টিস্তানে ভারত-পাক নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পাক সেনাদের তৎপরতা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। গোয়েন্দা সূত্র বলেছিল, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা তথা এলএসি-তে উত্তেজনার আবহেই ‘বন্ধু’ চিনকে সাহায্য করতে অন্তত ২০ হাজার সেনা গিলগিট সীমান্তে পাঠিয়েছে পাকিস্তান।
কৌশলগত বিশেষজ্ঞদের দাবি, ভারতকে দু’দিক থেকে চাপে রাখতে নয়া ছক কষছে চিন। জম্মু-কাশ্মীরে নাশকতা বাড়ানোর জন্য একদিকে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনা করছে, অন্যদিকে পাক সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করার চেষ্টা করছে।
পাকিস্তানকে টিকা দিতে এগিয়ে এসেছে চিনের ক্যানসিনো বায়োফার্ম। পাশাপাশি সিনোভ্যাকও চুক্তি করতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। স্থানীয় কোম্পানি এজেএম ফার্মা লিমিটেডের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে ক্যানসিনোর। সংস্থার টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার হাসান আব্বাস জাহির বলেছেন, পাকিস্তানের ড্রাগ রেগুলেটরের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে ক্যানসিনো বায়োফার্ম। প্রাথমিকভাবে ২ কোটি টিকার ডোজ তারা পাঠাতে পারে পাকিস্তানে। ইতিমধ্যেই টিকার পাঁচ লক্ষ ডোজ পৌঁছে গেছে বলেও খবর শোনা যাচ্ছে।
-বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক