প্রথমবারের মতো ‘ফার্স্ট এইচএসবিসি বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড‘ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দি হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং কর্পোরেশন লিমিটেড বাংলাদেশ (এইচএসবিসি)। দেশের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তাদের উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতি দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এ উদ্যোগ।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানির হোটেল সোনারগাঁওয়ে ফার্স্ট এইচএসবিসি বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ব্যাংকটির ডেপুটি সিইও অ্যান্ড কান্ট্রি হেড অব হোলসেল ব্যাংকিংয়ের মো. হাবিব উর রহমান বিষয়টি জানান।
তিনি বলেন, অ্যাওয়ার্ডের নমিনেশন ফরম পূরণের মাধ্যমে সাতটি ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। এই অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে আমরা দেশের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সার্বিক সহায়তার মাধ্যমে ব্যবসা সম্প্রসারণে নানা বৈশ্বিক সম্ভাবনার সঙ্গে সম্পৃক্ত করে দিচ্ছি। বিশ্ববাণিজ্যে যা বিগত ১৫০ বছরের বেশি সময় ধরে আমরা করে আসছি।
এইচএসবিসি বাংলাদেশের হেড অব কমিউনিকেশন তালুকদার নোমান আনোয়ার বলেন, বিজয়ী নির্বাচনের ক্ষেত্রে দেশের রপ্তানি ও সামগ্রিক অর্থনীতিতে অবদান, সামাজিক দায়িত্ববোধ, পরিচালন প্রক্রিয়া, ডাইভারসিটি ও রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্স প্রভৃতি বিচার করা হবে।
তিনি বলেন, এতে বাংলাদেশে কার্যরত সব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তারা অংশ নিতে পারবেন। অংশগ্রহণকারীকে এইচএসবিসির গ্রাহক হওয়ার প্রয়োজন নেই।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নমিনেশন জমা দেওয়া যাবে এবং আগামী বছরের ১৮ জানুয়ারি অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে। নমিনেশন ফরম ও অন্যান্য বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে business.hsbc.com.bd/bea এই ওয়েবসাইটে।
ক্যাটাগরির গুলো হলো–
১. রপ্তানিতে এক্সিলেন্স (তৈরি পোশাকশিল্প) বার্ষিক রপ্তানি আয় ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও তার বেশি
২. রপ্তানিতে এক্সিলেন্স– সাপ্লাই চেইন ও ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ বার্ষিক রপ্তানি আয় ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও তার বেশি
৩. রপ্তানিতে এক্সিলেন্স– অসনাতন ও উদীয়মান ক্ষেত্র বার্ষিক রপ্তানি আয় তিন মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও তার বেশি (তৈরি পোশাক শিল্প ও টেক্সটাইলস ব্যতীত)
৪. আমদানি বিকল্প শিল্পে অসমান্য অবদান (আমদানি বিকল্প পণ্যের পরিমাণ ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও তার বেশি)
৫. আভ্যন্তরীণ বিনিয়োগে অসামান্য অবদান (বৈদেশিক বিনিয়োগ হতে পারে মূলধন, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ সংক্রান্ত ইত্যাদি)
৬. ইনফ্রাস্ট্রাকচার এক্সিলেন্স (নির্দিষ্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে জীবনযাত্রার মান ও জিডিপি উন্নয়নে কার্যকর অবদান রেখেছে এমন প্রতিষ্ঠান)
৭. স্পেশাল অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড (এমন ব্যক্তি, ব্যক্তিবর্গ ও প্রতিষ্ঠান যারা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছেন, ইনোভেশন এনেছেন, এক্সিলেন্স ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে সামাজিক অবদান রেখেছেন।)
এইচএসবিসি বিজনেস অ্যাওয়ার্ডের পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ডিপার্টমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ব্রিটিশ হাইকমিশন বা ডিআইটি। নমিনেশন বাছাইয়ে বিচারক প্যানেলে থাকবেন এইচএসবিসি সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিম, বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ডিআইটি নির্বাচিত সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন– এইচএসবিসি বাংলাদেশের হেড অব কমিউনিকেশন তালুকদার নোমান আনোয়ার ও এইচএসবিসি বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড অব গ্লোবাল ট্রেড অ্যান্ড রিসাইভেবেলস ফাইন্যান্সের মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান প্রমুখ।