Home জাতীয় প্রণোদনা ঘোষণার সুপারিশ সিপিডির

প্রণোদনা ঘোষণার সুপারিশ সিপিডির

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

ঢাকা: আরও এক দফা প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণার সুপারিশ করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি নিয়ে আয়োজিত ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতির টেকসই পুনরুদ্ধারে এই সুপারিশ তুলে ধরে সংস্থাটি।

সংলাপে সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন ও গবেষণা পরিচালক ড.খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বক্তব্য রাখেন।

স্টেট অব দ্য বাংলাদেশ ইকোনমি, ২০২১ পর্যালোচনা তুলে ধরেন সংস্থার সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. তৌফিকুল ইসলাম খান। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, করোনা ভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত বড় শিল্প খাত দ্রুত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। এক্ষেত্রে সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের অবদান আছে। কিন্তু ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা প্রণোদনা সুবিধা প্রত্যাশা অনুযায়ী পায়নি। তাদের দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে হলে আর এক দফা প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করতে হবে।

সংস্থাটি মনে করে, করোনার কারণে বিনিয়োগ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই নতুন আর একটি প্রণোদনা প্যাকেজ এমনভাবে দিতে হবে, যেখানে কর্মসংস্থান তৈরি ও ক্ষুদ্র শিল্পখাত যেন সর্বোচ্চ গুরুত্ব পায়।

ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, করোনা পরবর্তী অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে স্থিতিশীল অবস্থা আছে। সরকারি বিনিয়োগের অবস্থা ভালো। কিন্তু করোনায় বেসরকারি বিনিয়োগ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত। তাই স্বাভাবিকভাবে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি বাধাগ্রস্ত হয়েছে। অর্থনীতির টেকসই পুনরুদ্ধারে আরেক দফা প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণার সুপারিশ করেন তিনি। একইসাথে তিনি এ বছরের সংশোধিত বাজেটে বিনিয়োগবান্ধব কর্মসূচির প্রতি বেশি গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ দেন।

ড. তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাস অর্থনীতি ভালো সময় পার করেছে। এক্ষেত্রে উচ্চ রেমিটেন্স প্রবাহ, রপ্তানি আয় ও কৃষিখাত বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। এছাড়া করোনা ভাইরাসের মধ্যে রাজস্ব সংগ্রহ ভালো আছে। জুলাই-অক্টোবর পর্যন্ত রাজস্ব আয়ে ৮ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন।

প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সময় বাড়ানোর সমালোচনা করেন তিনি। বলেন, বার বার সময় বাড়িয়ে দৃশ্যত কোনো লাভ হচ্ছে না। ক্ষুদ্র ও অতি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে প্রণোদনা সুবিধা পাচ্ছে না।

এসময় চালের বর্তমান মজুদ ৭ লাখ মেট্রিক টন বাড়িয়ে ১০ লাখ টনে উন্নীত করার সুপারিশ করা হয় ভার্চুয়াল সংলাপে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারকে পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শও দিয়েছে সিপিডি।