Home আইন-আদালত প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

প্রতীকি ছবি

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

কক্সবাজার: জেলার চকরিয়া উপজেলায় এক দফাদারের বিরুদ্ধে অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী, বয়স্ক ও বিধবাদের ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়,  বমু বিলছড়ি ইউনিয়নে অসচ্ছল ৪১৫ জন বয়স্ক, ২৮৪ জন বিধবা ও ৮৫জন প্রতিবন্দী সমাজ সেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে ভাতা পেয়ে থাকেন। গেল বৃহস্পতিবার ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট ব্যাংকিং থেকে টাকা উত্তোলন করে এলাকায় প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়া লোকজনদের মাঝে দফাদার আবদুল মন্নান ভাতার টাকা বিতরণ করেন। এ সময় শারীরিক প্রতিবন্ধী জান্নাতুল ফেরদৌসকে ২২৫০ টাকার স্থলে ২০০০টাকা, মরিয়ম বেগমকে ৪৫০০ টাকা স্থলে ২০০০টাকা, জাহাঙ্গীর আলমকে ২২৫০ টাকার স্থলে ২০০০টাকা ও বয়স্ক ভাতা প্রাস্ত সাহাব উদ্দিনকে ৩০০০ টাকার স্থলে ১৫০০ টাকা ও ফেরদৌসী বেগমকে ২২৫০ টাকার স্থলে ২০০০ টাকা প্রদান করে বাকি টাকা রেখে দেন আবদুল মন্নান।

পরে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় কানাঘুষা শুরু হলে বয়স্ক ভাতা প্রাপ্ত সাহাব উদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে পুরো টাকা পৌঁছে দেন। একইভাবে ইউনিয়নের অধিকাংশ ভাতা প্রাপ্তদের কাছ থেকেও আবদুল মন্নান বিভিন্ন অংকের টাকা রেখে দেন বলে জানান এলাকাবাসী।

ভূক্তভোগী শারিরীক প্রতিবন্ধী মরিয়ম বেগম বলেন, টাকার অংক লিখা হয়েছে ৪ হাজার ৫০০ টাকা কিন্তু আমাকে নগদ দেয়া হয়েছে ২০০০ টাকা। আমার পরিবারের অন্য প্রতিবন্ধী সদস্যদের কাছ থেকেও একইভাবে টাকা কেটে রেখে দেন দফাদার আবদুল মন্নান।

ভুল স্বীকার করে আবদুল মন্নান বলেন,  বিষয়টি আমি সমাধান করছি।

বমু বিলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মতলব জানান, ভাতার টাকা বিতরণের বিষয়ে আমি জানতাম না। আমাকে না জানিয়ে ভাতার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। টাকা কম দেওয়ায় ভুক্তভোগীরা আমার কাছে অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তানবীর হোসেন জানান, কেউ বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা আত্মসাত করলে কঠোরভাবে ব্যবস্থা গ্রহণকরা হবে।