Home চট্টগ্রাম ‘শতাধিক মিথ্যা মামলায় আসলাম চৌধুরীকে আটক রাখা হয়েছে’ দাবি খসরুর

‘শতাধিক মিথ্যা মামলায় আসলাম চৌধুরীকে আটক রাখা হয়েছে’ দাবি খসরুর

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম: সরকার মানুষের সাংবিধানিক, গণতান্ত্রিক ও নাগরিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশ এখন মাফিয়া রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ভাগ-বাটোয়ারার মহোৎসব চলছে।

পাঁচ বছর ধরে কারাগারে আটক বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর মুক্তি দাবিতে শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

আসলাম চৌধুরীকে শতাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে বেআইনিভাবে জেলে আটক রাখা হয়েছে দাবি করে আমীর খসরু বলেন, ২০১৬ সালের ১৫ ঢাকার কুড়িল বিশ্বরোড থেকে আসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাঁকে দফায় দফায় রিমান্ডে নিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়। দেওয়া হয় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা।

তিনি জানান, আইনি লড়াইয়ে তিনি (আসলাম চৌধুরী) ছয় মাসের মধ্যে জামিন পেলেও তাকে মুক্তি না দিয়ে শতাধিক মিথ্যা ও সাজানো মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সবগুলো মামলায় জামিন লাভের পর গত ৩ জানুয়ারি ঢাকার শাহবাগ থানায় ৮ বছর আগের একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ফের তার রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়।

বিএনপির স্থানীয় কমিটির এই সদস্য বলেন, আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিলেও পুলিশ মাত্র একদিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বাকি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক মাস সময় চেয়ে আবেদন করেছে আদালতে। আগামী ৯ মার্চ এ আবেদনের শুনানির তারিখ রয়েছে।

তিনি বলেন, আইনের শাসন অনুসরণ করলে আসলাম চৌধুরীকে জামিন না দেওয়ার কোনো উপায় নেই। কিন্তু সরকার আইনি প্রক্রিয়া চালাতে দিচ্ছে না। জামিন নিতে গেলে সরকারের একের পর এক সময়ের আবেদনের অর্থই হলো তাকে জেলে আটকে রাখা।

আমীর খসরু বলেন, দেশে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীরা যে প্রতিনিয়ত রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছে, তার জ্বলন্ত উদাহরণ আসলাম চৌধুরী।

অবিলম্বে আসলাম চৌধুরীর মুক্তি দাবি করে তিনি বলেন, তাকে অন্যায়ভাবে আটক রাখার প্রক্রিয়ার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদেরও এর জন্য এক সময় জবাবদিহি করতে হবে।

চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, মহানগর কমিটির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, উত্তর জেলার সহ-সভাপতি চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিন, নগর বিএনপি নেতা ইয়াছিন চৌধুরী লিটন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।