নালা-নর্দমায় আবর্জনা ফেললে দণ্ড
বিজিনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রামঃ কেউ নালা-নর্দমায় বা খালের পানি চলাচলের পথে প্লাস্টিক, পলিথিন বা ময়লা আবর্জনা ফেললে দন্ডনীয় অপরাধ হবে। নগরবাসীর সহযোগিতা ছাড়া মশা নিধন ও পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা সম্ভব না। মনে রাখতে হবে, সিটি কর্পোরেশন শুধু মেয়রের একার নয়, প্রত্যেক নগরবাসীর।
শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে ৪নং চান্দগাঁও ওয়ার্ডে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে প্রথম ১০০ দিনের কর্মসূচির কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় এসব কথা বলেন সিটি মেয়র।
এ সময় সিটি মেয়র এম. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, নগরবাসীর প্রত্যক্ষ ভোটে সিটি মেয়র হিসেবে ৫ বছরের জন্য দায়িত্ব পেয়েছি, তবে এই সময়ের মধ্যে সবার শতভাগ চাহিদা পূরণ করা কখনো সম্ভব না। তাই অধিকতর জনগুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে ১০০ দিনের মধ্যে সেগুলো ধাপে ধাপে সমাধান করে জনদুর্ভোগ দূর করতে চাই। বর্তমানে নগরীতে মশার বিস্তার বেড়ে গিয়ে জনদুর্ভোগ ও অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডকে কয়েকটি জোনে ভাগ করে প্রথম ২০ দিনের মধ্যে মশা নিধন ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হবে।
তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশন মশা নিধনের ওষুধ ছিটাবে এবং প্রকাশ্য স্থান ও নালা নর্দমার ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করবে। তবে নগরবাসীর সহযোগিতা ছাড়া কেবল এভাবে মশা নিধন ও পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা সম্ভব না। মনে রাখতে হবে, সিটি কর্পোরেশন শুধু মেয়রের একার নয়, প্রত্যেক নগরবাসীর। কেউ নালা-নর্দমায় বা খালে ও পানি চলাচলের রাস্তায় প্লাস্টিক, পলিথিন বা ময়লা আবর্জনা ফেললে দন্ডনীয় অপরাধ হবে।
মেয়র আরো বলেন, মশা নিধনে সিটি কর্পোরেশনগুলো যে ওষুধ ছিটায় সেগুলোর মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, তাই এই ওষুধ গুলোর মান যাচাই বাছাইয়ের জন্য ঢাকায় ল্যাবে পাঠানো হবে। এছাড়া নগরীর অনেক সড়ক যানবাহন ও মানুষের চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এগুলো সব এক সাথে সংস্কার বা মেরামত করা সম্ভব না। যেগুলোর অবস্থা বেশি খারাপ সেগুলো আগে সংস্কার বা মেরামত করা হবে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো রক্ষাণাবেক্ষন ও সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য উন্নত প্রকৌশলগত পরিকল্পনার প্রয়োজন রয়েছে। তাই যথাযথ সমাধানের জন্য ধৈর্য ধরতে হবে। নগরের সমস্যা সমাধানে আমি উদ্যোগী ও সচেষ্ট। যেকোনো নাগরিক সমস্যা বা দুর্ভোগের বিষয়ে আমাকে অবগত করা হলে তা নিরসন ও লাঘবে তাৎক্ষণিক কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর এসারুল হক, মোহাম্মদ শহিদুল আলম, এম আশরাফুল আলম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম, চসিক আঞ্চলিক অফিস জোন-৬ এর নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া আকতার প্রমুখ।