Home জাতীয় এলপি গ্যাস নীতিমালায় যা যা আছে

এলপি গ্যাস নীতিমালায় যা যা আছে

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

ঢাকা: এলপি গ্যাস নীতিমালা-২০২১ এর খসড়া প্রকাশ করেছে  বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।

বর্তমানে এ সংশ্লিষ্ট যে ৩টি নীতিমালা রয়েছে সেগুলোকে সমন্বিত করে তৈরি হয়েছে এই নীতিমালার খসড়া। এতে বলা হয়েছে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ও পরিবেশ সংরক্ষণে লিক্যুইফাইড (তরলীকৃত) পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপি গ্যাস বা এলপিজি) একটি সম্ভাবনাময় জ্বালানি। এলপিজি বর্তমানে গৃহস্থালি, অটোগ্যাস, বাণিজ্যিক, ক্ষুদ্র শিল্প, (বিদ্যুৎ), কেমিক্যাল এবং প্রসেস ইন্ডাস্ট্রির জ্বালানি ও কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এলপিজির চাহিদা বৃদ্ধির সাথে সাথে দেশে ক্রমশঃ এলপিজি ইন্ডাস্ট্রির সংখ্যা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ শিল্পকে সহায়তা, তত্ত্বাবধান ও তদারকির জন্যই এ সমন্বিত খসড়া নীতিমালা।

এলপি গ্যাস অপারেটরের যোগ্যতা: প্ল্যান্ট/স্থাপনাসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের জন্য নিজস্ব জমি অথবা লিজ গ্রহণকৃত জমির ক্ষেত্রে ন্যূনতম ২৫ বছর মেয়াদি রেজিস্টার্ড চুক্তিপত্র থাকতে হবে। আর্থিক সামর্থ্যের নির্ধারিত মানদন্ডের প্রমাণপত্র থাকতে হবে এবং কোন ব্যাংকের ঋণ খেলাপি না হওয়া। জ্বালানি বা বিদ্যুৎ বা ভারী শিল্প নির্মাণ, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

*ফ্রাঞ্চাইজির যোগ্যতা: এলপিজি বটলিং প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য ন্যূনতম তিন শত মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন এলপিজি স্টোরেজ ট্যাংক থাকতে হবে। ফ্রাঞ্চাইজি বটলিং প্ল্যান্ট স্থাপন ও বোতলজাতকরণ এবং একটি নির্দিষ্ট এলাকায় এলপিজি পরিবহন, বিতরণ, বিপণন ও ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে। নিজ নামে আয়কর পরিশোধের প্রত্যয়নপত্র থাকতে হবে। অপারেটরের সাথে কমপক্ষে ১৫ বছরের চুক্তি থাকতে হবে। ফ্রাঞ্চাইজি যতদিন অপারেটরের সাথে চুক্তিবদ্ধ থাকবে ততদিন পর্যন্ত ফ্রাঞ্চাইজি ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে।

এলপি গ্যাস অপারেটরের পালনীয় শর্তাবলি: বিস্ফোরক আইন ১৮৮৪, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম আইন ১৯৭৪,গ্যাস সিলিন্ডার বিধিমালা ১৯৯১, গ্যাসাধার বিধিমালা ১৯৯৫

,বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন ২০০৩, তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) বিধিমালা ২০০৪ (সংশোধিত ২০১৬), বাংলাদেশ গ্যাস আইন ২০১০, পেট্রোলিয়াম আইন ২০১৬, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন আইন ২০১৬,এলপি গ্যাস সমন্বিত নীতিমালা, ২০২১। এলপিজি মজুদ ট্যাংকসমূহের ধারণ ক্ষমতা ন্যূনতম পাঁচ হাজার মেট্রিক টনে উন্নীত করে ব্যবসা পরিচালনার অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে। কোন অপারেটর নিজস্ব সিলিন্ডার ছাড়া অন্য কোন অপারেটর বা প্রতিষ্ঠানের সিলিন্ডারে গ্যাস ভর্তি (ক্রস ফিলিং) করে বিতরণ ও বিপণন করতে পারবে না। সরকার কোন অপারেটরকে এলপিজি বাজারজাতকরণের জন্য সমগ্র বাংলাদেশ বা কোন বিশেষ অঞ্চল নির্ধারণ করে দিতে পারবে।

এলপিজি প্ল্যান্ট, অটোগ্যাস স্টেশন এবং রূপান্তর ওয়ার্কশপ স্থাপনের নিয়মাবলী: সরকার তথা জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের পূর্বানুমোদন ব্যতীত কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এলপি গ্যাস সংক্রান্ত স্থাপনা নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করতে পারবে না। জেটিসহ টার্মিনাল, এলপিজি মজুদ ট্যাংক, বটলিং প্ল্যান্ট এবং সংশ্লিষ্ট স্থাপনা নির্মাণের ক্ষেত্রে ‘তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) বিধিমালা ২০০৪ (সংশোধিত ২০১৬)’, গ্যাস সিলিন্ডার বিধিমালা, ১৯৯১ ও গ্যাসাধার বিধিমালা, ১৯৯৫ যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। প্রস্তাবিত এলপিজি সংক্রান্ত স্থাপনা নির্মাণের ক্ষেত্রে আবাসিক/জনবহুল এলাকা পরিহার করতে হবে।

অটোগ্যাস রিফুয়েলিং স্টেশন স্থাপনের নিয়মাবলী: জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অনুমতি প্রাপ্ত অপারেটর ব্যতীত কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অটোগ্যাস রিফুয়েলিং স্টেশন স্থাপন করতে পারবে না। অটোগ্যাসের কোন ফ্রাঞ্চাইজি থাকবে না। অপারেটর এবং ডিলার এ দু স্তরে অটোগ্যাস বিপণন ও বিতরণ করতে হবে। অপারেটর অটোগ্যাস রিফুয়েলিং স্টেশন স্থাপন ও পরিচালনার জন্য অটোগ্যাস স্টেশন স্থাপনের সংখ্যা উল্লেখপূর্বক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে আবেদন করবে। অনুমতি প্রাপ্তির পর অপারেটর অটোগ্যাস ফিলিং স্টেশন স্থাপনের জন্য ডিলার নিয়োগ করতে পারবে এবং অপারেটরের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে অপারেটরের তত্ত্বাবধানে ডিলার অটোগ্যাস স্টেশন স্থাপন করতে পারবে। তবে, সকল ডিলারের অটোগ্যাস স্টেশন স্থাপনের ক্ষেত্রে যাবতীয় অনুমোদন অপারেটরের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দপ্তর হতে গ্রহণ করতে হবে।

ন্যূনতম দূরত্ব: হাইওয়েতে অনুমোদিত একটি অটোগ্যাস স্টেশনের একই দিকে ৪(চার) কিলোমিটার ও বিপরীত দিকে ২(দুই) কিলোমিটারের মধ্যে অটোগ্যাস স্টেশন স্থাপন করা যাবে না। সিটি কর্পোরেশন, জেলা শহর ও পৌরসভার আওতাভুক্ত এলাকায় অনুমোদিত একটি অটোগ্যাস স্টেশনের একই দিকে ২(দুই) কিলোমিটার ও বিপরীত দিকে ১(এক) কিলোমিটারের মধ্যে অটোগ্যাস স্টেশন স্থাপন করা যাবে না। সিটি কর্পোরেশন ও জেলা শহরের আওতা বহির্ভূত এলাকায় অনুমোদিত একটি অটোগ্যাস স্টেশনের একই দিকে ৪(চার) কিলোমিটার ও বিপরীত দিকে ২(দুই) কিলোমিটারের মধ্যে অটোগ্যাস স্টেশন স্থাপন করা যাবে না।

অবস্থান: প্রস্তাবিত অটোগ্যাস রিফুয়েলিং স্টেশনের অবস্থান এমন স্থানে হতে হবে যাতে সড়কে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি না হয়; রিফুয়েলিং স্টেশনের প্রাঙ্গণ সড়কের বাঁক, ঢাল, সংযোগ স্থল  এবং ব্রীজ হতে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থিত হতে হবে;রিফুয়েলিং স্টেশনের প্রাঙ্গণে গমন ও বাহিরের পৃথক দুটি পথ থাকতে হবে; রিফুয়েলিং স্টেশন বাসস্ট্যান্ড, রেললাইন বা বাস টার্মিনাল হতে ন্যূনতম ১০০ মিটার দূরে হতে হবে; প্রস্তাবিত রিফুয়েলিং স্টেশন উচ্চচাপ বৈদ্যুতিক তারের নিচে স্থাপন করা যাবে না।

আকার/আয়তন: অটোগ্যাস রিফুয়েলিং স্টেশনের আয়তন সিটি কর্পোরেশন ও জেলাশহরের আওতাভুক্ত এলাকায় ন্যূনতম ১০ কাঠা (রাস্তা বরাবর সম্মুখভাগের দৈর্ঘ্য ন্যূনতম ১০০ ফুট এবং প্রস্থ ন্যূনতম ৭০ ফুট) এবং সিটি কর্পোরেশন ও জেলা শহরের আওতা বহির্ভূত এলাকায় ন্যূনতম ১২ কাঠা (রাস্তা বরাবর সম্মুখভাগের দৈর্ঘ্য ন্যূনতম ১২০ ফুট এবং প্রস্থ ন্যূনতম ৭০ ফুট) হতে হবে।

নকশা অনুমোদন ও লাইসেন্স গ্রহণ: বিস্ফোরক পরিদপ্তর কর্তৃক নকশা অনুমোদন ও লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতিরেকে নতুন অটোগ্যাস স্টেশনের নির্মাণ কাজ অথবা পুরাতন অটোগ্যাস ফিলিং স্টেশনের প্রাঙ্গণ বা অন্যান্য স্থাপনা পরিবর্তন/পরিবর্ধন বা সংযোজন/বিয়োজন করা যাবে না।

অটোগ্যাস সিলিন্ডার পুনঃপরীক্ষণ: যানবাহনে ব্যবহৃত অটোগ্যাস সিলিন্ডার, প্রতি ১০ (দশ) বছর অন্তর অন্তর হাইড্রোটেস্ট করে সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে ফিটনেস সার্টিফিকেট গ্রহণ করতে হবে।

পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা: অটোগ্যাস রিফুয়েলিং স্টেশনে পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকতে হবে।

ড্রাইভ-ওয়ে: অটোগ্যাস রিফুয়েলিং স্টেশনের ড্রাইভ-ওয়ে প্রশস্ত ও পাকা হতে হবে।

আলোর ব্যবস্থা: প্রস্তাবিত অটোগ্যাস রিফুয়েলিং স্টেশনে প্রয়োজন অনুযায়ী আলোর ব্যবস্থা থাকতে হবে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত আলোকসজ্জা করা যাবে না।

জেটিসহ টার্মিনাল নির্মাণের নিয়মাবলি: সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতীত কোন প্রতিষ্ঠান/ব্যক্তি জাহাজ বা নৌযান থেকে এলপিজি খালাস অথবা জাহাজ বা নৌযানে এলপিজি বোঝাই/ভর্তি করার জন্য জেটি বা জেটিসহ টার্মিনাল নির্মাণ করতে পারবে না; এলপিজিবাহী জাহাজ বা নৌযান নোঙর করতে সক্ষম এমন নদী বা চ্যানেল বা সাগর তীরবর্তী স্থানে প্রস্তাবিত জেটি বা জেটিসহ টার্মিনাল নির্মাণ করতে হবে। প্রস্তাবিত জেটি বা জেটিসহ টার্মিনাল নির্মাণের ক্ষেত্রে আবাসিক/জনবহুল এলাকা পরিহার করতে হবে।

প্ল্যান্ট স্থাপনের ক্ষেত্রে আবেদন নিষ্পত্তিকরণ প্রক্রিয়া: জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ আবেদনটি সরেজমিন যাচাই-এর জন্য বিপিসি বরাবর প্রেরণ করবে। বিপিসি সরেজমিনে তদন্তপূর্বক মতামতসহ একটি প্রতিবেদন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে প্রেরণ করবে। প্ল্যান্ট স্থাপনের অনুমতিপত্র হস্তান্তরযোগ্য নয়।

অটোগ্যাস রিফুয়েলিং স্টেশনের ক্ষেত্রে:  অপারেটর অটোগ্যাস রিফুয়েলিং স্টেশন স্থাপন করতে আগ্রহী হলে সংখ্যা ও স্থান উল্লেখপূর্বক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে আবেদন করবে। নীতিগত অনুমতির মেয়াদ ২ বছর হবে। নীতিগত অনুমোদন গ্রহণ করে অটোগ্যাস রিফুয়েলিং স্টেশন পরিচালনা করা যাবে না। নীতিগত অনুমোদনপ্রাপ্ত অটোগ্যাস রিফুয়েলিং স্টেশন সংখ্যার ন্যূনতম ১০% স্থাপন না করা পর্যন্ত অপারেটর অটোগ্যাস স্টেশন পরিচালনার অনুমতিপ্রাপ্ত হবেন না।

ব্যবসা পরিচালনার জন্য কাগজপত্রাদি: পরিবেশগত ছাড়পত্র, বিস্ফোরক পরিদপ্তরের লাইসেন্স, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এর লাইসেন্স, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ছাড়পত্র।

ব্যবসা পরিচালনার শর্তাবলি: প্রতিবছর ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই পরবর্তী বছরের জন্য বার্ষিক উৎপাদন পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। পরিবেশ বা জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কোন পণ্য উৎপাদন করা যাবে না। স্থাপিত টার্মিনাল ও প্ল্যান্টে এলপি গ্যাসের গুণগতমান পরীক্ষার জন্য ন্যূনতম প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি থাকতে হবে। স্থাপিত বটলিং প্ল্যান্টে এলপিজি সিলিন্ডারের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ পরীক্ষণের জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি সম্বলিত পরীক্ষা কেন্দ্র থাকতে হবে। এলপি গ্যাস মজুদ ট্যাংকের উপর পানির স্প্রে ব্যবস্থা থাকতে হবে। দূর্ঘটনার কারণে ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকবে। ভোক্তাদেরকে নতুন সিলিন্ডার সরবরাহের ক্ষেত্রে রেগুলেটর, রাবার হোস পাইপ, ওরিং, ক্লিপসহ সকল যন্ত্রাংশ সরবরাহ করবে। পুরাতন রাবার হোস পাইপ, রেগুলেটর, ক্লিপসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ নির্ধারিত সময়ে যথাযথ মূল্য গ্রহণ করে পরিবর্তন করবে।কোনো গ্রাহক এলপিজি সরবরাহ প্রাপ্তির জন্য একটি অপারেটরের সাথে চুক্তিবদ্ধ হবে। একটি অপারেটরের সাথে চুক্তিবদ্ধ থাকা অবস্থায় অন্য কোম্পানীর সিলিন্ডার ব্যবহার করবে না এমন বিধান করা যেতে পারেকেনো গ্রাহক এলপিজি সিলিন্ডার সরাসরি অপারেটরের নিকট থেকে ক্রয় করবে। ব্যবসা পরিচালনার অনুমতিপত্র সরকারের অনুমতি ব্যতীত হস্তান্তরযোগ্য নয়।

খুচরা মূল্য ও ফি নির্ধারণ: এলপি গ্যাস/অটোগ্যাসের আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যের উপর ভিত্তি করে উপযু্ক্ত কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সাথে আলোচনাক্রমে খুচরা মূল্য নির্ধারণের ক্ষমতা সংরক্ষণ করে। সেবা বা লাইসেন্স প্রদানের জন্য বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) ফি নির্ধারণ করবে।

*অনুমতি বাতিলকরণ: এ নীতিমালায় উল্লিখিত ও দেশের প্রচলিত যেকোন আইন, বিধিমালা, নীতিমালা, অনুমতিপত্র বা এর অংশ বিশেষ এর পরিপন্থী কার্যক্রম এবং এ নীতিমালার কোন শর্ত ভঙ্গ করলে, প্ল্যান্ট পরিচালনায় আন্তর্জাতিক কোড ও স্ট্যান্ডার্ড এবং দেশে প্রচলিত বিধি-বিধান অনুসরণ না করলে অনুমতি বাতিল হবে। এ নীতিমালা অবিলম্বে কার্যকর হবে।

অন্যান্য শর্তাবলি: অটোগ্যাস রিফুয়েলিং স্টেশনের ডিসপেন্সিং ইউনিটের মিটার বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই) কর্তৃক প্রত্যায়িত হতে হবে; অটোগ্যাস রিফুয়েলিং স্টেশনে টেলিফোন সংযোগ এবং বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহের ব্যবস্থাসহ পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক আধুনিক ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেটের ব্যবস্থা রাখতে হবে; অটোগ্যাস রিফুয়েলিং স্টেশন নির্মাণের ক্ষেত্রে সেইফটি অপারেশনাল ম্যানুয়াল অনুসরণ করতে হবে;

রিফুয়েলিং স্টেশন পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষিত জনবল নিয়োগ করতে হবে। সর্বশেষ প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা লাভের জন্য রিফুয়েলিং স্টেশন পরিচালনায় নিয়োজিত জনবলকে প্রতি ২(দুই) বছর অন্তর প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে।