Home অন্যান্য চাঁদে বেড়াতে যাচ্ছেন জাপানি ধনকুবের ইউসুকা

চাঁদে বেড়াতে যাচ্ছেন জাপানি ধনকুবের ইউসুকা

ছবি: সংগৃহীত

অনলাইনে ফ্যাশনের জিনিসপত্র বিক্রি করেন জাপানের বিলিওনেয়ার ইউসুকা মায়েজাওয়া। কয়েক বছরের মধ্যে তিনি রকেটে চড়ে রওনা হবেন চাঁদের উদ্দেশে। স্পেস এক্স নামে এক সংস্থা চাঁদে যাওয়ার জন্য বানাচ্ছে রকেট। ২০১৮ সালে তাতে সিট বুক করেছিলেন ইউসুকা। সেজন্য কী পরিমাণে অর্থ দিয়েছিলেন জানা যায়নি। সম্ভবত ২০২৩ সালে রওনা হবে ওই মহাকাশযান। জাপানি বিলিওনেয়ার আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি একা যাবেন না। সঙ্গে নেবেন ছয় থেকে আটজন শিল্পীকে।

বুধবার টুইটারে এক ভিডিও পোস্ট করে ইউসুকা জানিয়েছেন, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তিনি বেছে নেবেন আটজনকে। তারা তাঁর সঙ্গে চাঁদে বেড়াতে যাবে। তিনি স্পেস এক্সের মহাকাশযানের সব সিটই বুক করে ফেলেছেন। অর্থাৎ তিনি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত সফরে যাচ্ছেন চাঁদে। মহাকাশযানে চড়ে কে কে যাবে, তা তিনিই ঠিক করবেন।

৪৫ বছর বয়সী ইউসুকা বলেন, প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন, শুধু শিল্পীদের সঙ্গে নিয়ে যাবেন। পরে ভেবেছেন, যাঁরা কোনও সৃজনশীল কাজ করেন, তাঁরা সকলেই শিল্পী। তাঁর সঙ্গে চাঁদে যেতে হলে একটি ফর্ম ফিল আপ করতে হবে। তাতে থাকবে দু’টি শর্ত। এক নম্বর শর্ত, আপনি কি নতুন নতুন আইডিয়া ভালবাসেন? দ্বিতীয় শর্ত, আপনি কি মহাকাশযানে সহযাত্রীদের সঙ্গে বোঝাপড়া করে নিতে পারবেন?

জাপানি বিলিওনেয়ার জানিয়েছেন, মহাকাশযানে ১০ থেকে ১২ টি আসন আছে। যাঁরা চাঁদে যাওয়ার জন্য আবেদন করবেন, তাঁদের ‘প্রি রেজিস্ট্রেশন’ হবে ১৪ মার্চের মধ্যে। ২১ মার্চ হবে প্রথম দফার বাছাই। যাঁরা বাছাই হবেন, তাঁদের একটি কাজ দেওয়া হবে। যাঁরা কাজটি করতে পারবেন তাঁদের ইন্টারভিউ নেওয়া হবে অনলাইনে।

আবেদনকারীদের দ্বিতীয় দফায় বাছাই কবে হবে জানা যায়নি। তবে একটি সূত্রের খবর, মে মাসের মধ্যেই বেছে নেওয়া হবে আটজনকে। তারপর তাঁদের মেডিক্যাল চেক আপ হবে।

স্পেস এক্স ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চাঁদে একটি রকেট পাঠিয়েছিল। গত মাসে সেটি চন্দ্রপৃষ্ঠ ছোঁয়ার কিছুক্ষণ আগে বিরাট বিস্ফোরণে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। এর আগে ডিসেম্বরে স্পেস এক্সের একটি মহাকাশযান একইভাবে ধ্বংস হয়েছে। কিন্তু ওই সংস্থার বিশ্বাস, আগামী দিনে তারা ঠিকই চাঁদে রকেট পাঠাতে পারবে।

স্পেস এক্স সংস্থার মালিক ধনকুবের ইলোন মাস্ক। তিনি বলেন, “আমি নিশ্চিত আগামী দিনে আমাদের রকেটে চড়ে চাঁদে মানুষ যেতে পারবে। সম্পূর্ণ নিরাপদে চাঁদ থেকে ঘুরে আসতে পারবে তারা।”

-ইন্টারনেট