*ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেয়ার প্রস্তাব নাকচ
বিজনেসটুডে ২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বন্দর সিবিএ কার্যকরি পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে দেড় বছর। নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য দফায় দফায় শ্রম দপ্তরের নির্দেশনা সত্ত্বেও কোন উদ্যোগ নেই।
বিভাগীয় শ্রম দপ্তর সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দর কার্যকরি পরিষদের মেয়াদ ২০১৯ সালের ২৩ আগস্ট উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে দায়েরকৃত রিট পিটিশন-এর ওপর আদালত কর্তৃক ২০১৯ সালের ২ ডিসেম্বরের আদেশ অনুসারে নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য শেষবারের মত নির্দেশ দেয়া হয়েছে গত ২ ডিসেম্বর। কিন্তু কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি নির্বাচনের। এমন অবস্থার মধ্যে সভাপতি আবুল মনছুর আহম্মদ চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন। কার্যকরি পরিষদ গত ১১ ফেব্রুয়ারি জরুরি সভায় বসে সংগঠনের কার্যকরি সভাপতি মোহাম্মদ আজিমকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। গত ২২ ফেব্রুয়ারি তা বন্দর প্রশাসনকে অবহিত করা হয়।
বিভাগীয় শ্রম দপ্তরকে ঐ সিদ্ধান্ত অবহিত করা হলে তা সরাসরি নাকচ করে দেয়া হয়। গত মঙ্গলবার ( ২ মার্চ ) এক পত্রে জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে সভাপতি পদে কাউকে দায়িত্ব প্রদানের সুযোগ নেই। সভাপতির অনুপস্থিতিতে কার্যকরি সভাপতি অস্থায়ী সভাপতি হিসেবে কাজ চালানোর সুযোগ থাকলেও সভাপতির শূন্যপদে দায়িত্ব হস্তান্তরের বিধান নেই।
এদিকে, অভিযোগ রয়েছে যে একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠি নানা অজুহাতে সিবিএ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করেছে। আর কার্যকর সিবিএ না থাকায় বন্দর কর্মচারিদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে কোন উচ্চবাচ্য নেই। বর্তমানে কোন ট্রেড ইউনিয়ন নেই, নেতাদের ট্রেড আছে।
সিবিএ গঠনতন্ত্রের ২৪ ধারায় উল্লেখ রয়েছে প্রতি দু’বছর পর নির্বাচন করার। সিবিএ নির্বাচন চেয়ে দু’বার উচ্চ আদালতের গেছেন শ্রমিক নেতারা। ২০১০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি সিবিএ নির্বাচনে জয়ী হন মমতাজ উদ্দিন আহমদ ও ওয়াহিদুল্লাহ সরকার। দু’বছরের জন্য নির্বাচিত হলেও নানা টালবাহনায় তারা কাটান ২০১৬ সাল পর্যন্ত। কমিটি ভারপ্রাপ্ত নেতাদের দিয়ে সময় পার করেন আরো এক বছর। পরবর্তীতে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ২০১৭ সালের ২৪ আগস্টের নির্বাচনে মো. আবুল মনছুর ও রফি উদ্দিন খান প্যানেল নির্বাচিত হয়। তাদের মেয়াদ শেষ হয় ২০১৯ সালের ২৩ আগস্ট। এবারও সময়মতো নির্বাচন না হওয়ায় আবারো উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন। দ্রুত নির্বাচন করতে উচ্চ আদালত রুল জারি করেন।