বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
পিপলস ব্যাংকের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরুর প্রয়োজনীয় মূলধন সংগ্রহসহ সব প্রস্তুতি এখনও শেষ করতে পারেনি। তাই প্রাথমিক সম্মতিপত্রের (এলওআই বা লেটার অব ইনটেন্ট) মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করে ব্যাংকটি। সে অনুযায়ী মেয়াদ তিন মাস বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তিনমাসের মধ্যে শর্ত পূরণ করতে না পারলে ব্যাংকটির এলওআই বাতিল হয়ে যাবে।
বৃহস্পতিবার (১১মার্চ ) গভর্নর ফজলে কবিরের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে পিপলস ব্যাংকের সময় চাওয়ার বিষয়টি উঠলে তা অনুমোদিত হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, এলওআইয়ের শর্ত পূরণ করার জন্য প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংক তিন মাস সময় চেয়েছিল। বোর্ড তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সময় দিয়েছে। এ সময়ে তারা শর্ত পূরণ করতে না পারলে নিয়ম অনুযায়ী তাদের এলওআই বাতিল হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের কয়েকজনের অর্থের উৎসে অনিয়ম খুঁজে পায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেই কারণে পিপলস ব্যাংক লিমিটেডকে দেয়া এলওআই স্থগিত করা হয়েছিল। তবে বিতর্কিত উদ্যোক্তাদের বাদ দেয়ায় ব্যাংকটির এলওআইর ওপর থেকে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকে মূলধনের অর্থ জমা দিলে এ ব্যাংকটিকেও লাইসেন্স দেয়া হবে।
এলওআই শর্ত অনুযায়ী এখন কোনো ব্যাংককে চূড়ান্ত লাইসেন্স পেতে হলে প্রদর্শিত আয়ের ৪০০ কোটি টাকা মূলধন কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রাখতে হয়। এছাড়া পল্লী এলাকায় ব্যবসার সম্প্রসারণসহ বেশ কিছু শর্ত দেয়া হয়েছে। সামনের তিন মাসের মধ্যে প্রদর্শিত আয়ের ৪০০ কোটি টাকা মূলধন জমা দিতে না পারলে তাদের এলওআই বাতিল করা হবে।
পিপলস ব্যাংকের উদ্যোক্ত চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের বাসিন্দা যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা এম এ কাশেম। শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিংয়ের জন্য ব্যাংকটির আবেদন করা হয়েছে।
২০১৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি পরিচালনা পর্ষদের সভায় পিপলসসহ তিনটি ব্যাংককে সম্মতিপত্র দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংকের সঙ্গে অনুমোদন পাওয়া বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক ইতিমধ্যে দেশের ৬০ তম তফসিলি ব্যাংক হিসেবে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করছে।
এর আগে এলওআই শর্ত পূরণ করায় গত ডিসেম্বরে সিটিজেন ব্যাংক লিমিটেডকে ব্যবসায়িক কার্যক্রমের লাইসেন্স দেয়ার জন্য চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সিটিজেন ব্যাংক চেয়ারম্যান হিসাবে আছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এই ব্যাংকটিও শিগগির কাজ শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।