বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: আসছে বাজেটে প্লাস্টিক পণ্য তৈরির বিভিন্ন কাঁচামাল আমদানিতে বিদ্যমান শুল্কহার ১০ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছে এ খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ)।
রবিবার (১৪মার্চ ) সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ প্রস্তাব দেন বিপিজিএমইএ সভাপতি মো. জসীম উদ্দিন।
আসছে বাজেটে স্থানীয় শিল্পের জন্য সুরক্ষামূলক পদক্ষেপ চেয়ে তিনি বলেন, প্লাস্টিক পণ্যের কাঁচামাল পিভিসি স্ট্যাবিলাইজার, স্টিয়ারিক এসিড, পলিথাইলিন ওয়াক্স এবং ট্রান্সফার পেপার সম্পূর্ণভাবে আমদানিনির্ভর। এসব কাঁচামালের আমদানি শুল্ক বিদ্যমান ১০ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনলে রপ্তানি বাড়বে।
এছাড়া প্লাস্টিক বক্স, স্ন্যাক্স বক্স ও ব্যাগ, ট্রে, টেবিল ও রান্নাঘরে ব্যবহার্য বিভিন্ন প্লাস্টিক পণ্য আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্কসহ, অগ্রিম কর, সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব জানানো হয়।
তৈরি পোশাক খাতের এই পশ্চাৎসংযোগ শিল্প খাতকে বিদেশি পণ্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকতে হচ্ছে বিধায় এর উৎসে কর শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ থেকে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব দেয় বিজিএপিএমইএ।
পোশাক শিল্পের মতো এই খাতেও কর্পোরেট করহার ৩২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব রাখেন সংগঠনটির সভাপতি আব্দুল কাদের। এ খাতের জন্য অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে নগদ বা ব্যাক টু ব্যাক এলসির মাধ্যমে পণ্য ক্রয়ে আয়কর প্রত্যাহারেরও প্রস্তাব দেয় সংগঠনটি।
রাজস্ব আহরণ, অন্যদিকে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা- এ দুইয়ের সমন্বয়ে স্থানীয় শিল্পের সুরক্ষায় সর্বোচ্চ যতটুকু সম্ভব করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মু. রহমাতুল মুনিম বলেন, দেশি শিল্পের সুরক্ষা দিয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিবান্ধব নীতি নিয়ে রাজস্ব আহরণ করবে এনবিআর।