বিজিনেসটুডে২৪প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: আজিজ পাইপস লিমিটেড চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) এক চিঠির জবাবে জানিয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির নেপথ্যে অপ্রকাশিত কোনো মূল্যসংবেদনশীল তথ্য নেই তাদের কাছে।
চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) আজিজ পাইপসের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১১ পয়সা, যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ২১ পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৪ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি নিট দায় দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৩১ পয়সা।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে আজিজ পাইপস। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২৬ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৯১ পয়সা। ৩০ জুন প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি নিট দায় দাঁড়ায় ১৪ টাকা ২২ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১৩ টাকা ৮৩ পয়সা।
২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল আজিজ পাইপস। ২০১৮ হিসাব বছরে ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল তারা। ২০১৭ হিসাব বছরেও একই হারে স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল আজিজ পাইপস শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ১০৬ টাকা ২০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ৯৭ টাকা ৫০ পয়সা ও ১৪৫ টাকা।
১৯৮৬ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আজিজ পাইপসের অনুমোদিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা। বর্তমানে পরিশোধিত মূলধন ৫ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা। পুঞ্জীভূত লোকসান ২৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট ৫৩ লাখ ৪৭ হাজার ১২৫টি শেয়ারের মধ্যে ৩৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ উদ্যোক্তা-পরিচালক, ৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বাকি ৬২ দশমিক ২৯ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
সর্বশেষ নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে এ শেয়ারের মূল্য-আয় অনুপাত বা পিই রেশিও ৪০৮ দশমিক ৪৬।