Home চট্টগ্রাম চিটাগাং চেম্বারে ‘সাপ্লাই চেইন রেসিলিয়েন্স’ কর্মশালা সম্পন্ন

চিটাগাং চেম্বারে ‘সাপ্লাই চেইন রেসিলিয়েন্স’ কর্মশালা সম্পন্ন



বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

বাংলাদেশ সেন্টার অব এক্সিলেন্স, দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল রেসিলিয়েন্স প্রোগ্রাম (এনআরপি) এবং ইউএনডিপি’র যৌথ উদ্যোগে ৪ দিনব্যাপী ‘সাপ্লাই চেইন রেসিলিয়েন্স’ শীর্ষক ট্রেনিং প্রোগ্রাম’র সমাপনী ও সনদ প্রদান অনুষ্ঠান ২১ মার্চ বিকেলে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়।

চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি পরিকল্পনা কমিশন’র কার্যক্রম বিভাগের প্রধান (অতিরিক্ত সচিব) খন্দকার আহসান হোসেন ও এনআরপি’র প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) ড. নুরুন নাহার উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি পরিকল্পনা কমিশন’র কার্যক্রম বিভাগের প্রধান খন্দকার আহসান হোসেন বলেন, বেসরকারি বিনিয়োগকে দূর্যোগ সহনীয় করার জন্য গবেষণা ও কারিগরি সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে হবে। ২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার জন্য দরকার দক্ষ জনশক্তি। প্রশিক্ষণই হচ্ছে এই জনশক্তি অর্জনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। তাই বেসরকারি খাতে সাপ্লাই চেইন সংশ্লিষ্ট দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমরা কাঙ্খিত লক্ষ্য বাস্তবায়নে সক্ষম হব।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সেন্টার অব এক্সিলেন্স’র মাধ্যমে এ জাতীয় ট্রেনিং আরও বেশী আয়োজন করা দরকার যাতে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়। তিনি অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় সাপ্লাই চেইনকে অন্তর্ভূক্ত করার কথা উল্লেখ করেন। জাপানের মত আমাদেরকেও সাপ্লাই চেইন রেসিলিয়েন্স বৃদ্ধির মাধ্যমে সক্ষমতা তৈরী করতে হবে এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান রাখতে হবে যাতে বিনিয়োগ দূর্যোগ সহনীয় হয়।

চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বাংলাদেশ দূর্যোগের দিক থেকে ৭ম এবং ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। যেকোন ধরণের প্রাকৃতিক দূর্যোগ হলে সাপ্লাই চেইন এ ব্যাঘাত আসতে পারে। ফলশ্রুতিতে উৎপাদন কার্যক্রম ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অর্থনীতির উন্নয়ন গতিধারা মন্থর হতে পারে। গত বছর করোনা মহামারীতে সাপ্লাই রেসিলিয়েন্স সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকার কারণে চট্টগ্রামের অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই এই বিষয়কে মাথায় রেখে আমরা এই ট্রেনিং প্রোগ্রামের আয়োজন করেছি।

যাতে অংশগ্রহণকারীরা তথ্য ও প্রণালীগুলো শিখে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে প্রয়োগের মাধ্যমে ভবিষ্যতে যেকোন প্রাকৃতিক ও স্বাস্থ্যগত দূর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকতে পারে। তিনি আরও বলেন-দূর্যোগকালীন সময়ে বেসরকারি খাতে সাপ্লাই চেইনে কোন বিপর্যয় দেখা দিলে তা প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। কিন্তু সরকারের কোন একটি প্রতিষ্ঠান যেমন-পোর্ট, কাস্টমস’র সাপ্লাই চেইন কার্যক্রম যদি দূর্যোগকালীন সময়ে ব্যাঘাত ঘটে তাহলে তা পুরো বাংলাদেশের অর্থনীতির গতিপথকে রুদ্ধ করে দিতে পারে। এ বিষয়ের আলোকে তিনি বেসরকারি খাতের পাশাপাশি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাগুলোর সাপ্লাই চেইন রেসিলিয়েন্স আরও শক্তিশালী করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।  

এনআরপি’র প্রকল্প পরিচালক ড. নুরুন নাহার বলেন, ব্যবসায়িক খাতে সাপ্লাই চেইনের গুরুত্ব অপরিসীম। এই মহামারীর মধ্যেও ন্যাশনাল রেসিলিয়েন্স প্রোগ্রাম’র পক্ষ থেকে আমাদের প্রয়াস ছিল ট্রেনিং প্রোগ্রাম আয়োজনের মাধ্যমে সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করা।

তিনি বলেন, এই ট্রেনিং প্রোগ্রামের একটি প্রতিবেদন তৈরী করে অংশগ্রহণকারীদের উত্থাপতি সমস্যা সমাধান ও প্রস্তাবনাসমূহ বাস্তবায়নে কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। এসব প্রস্তাবনা জাতীয় নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে বিবেচনার লক্ষ্যে সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হবে। সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে অংশগ্রহণকারী ২৬টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সনদপত্র প্রদান করা হয়।