বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
কক্সবাজার: উখিয়া উপজেলার বালুখালি ক্যাম্প ৮-ই, ডব্লিউ ও ক্যাম্প ৯ এবং ১১-১২ তে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নারী ও শিশুসহ ৭ জন মারা গেছে। আহত হয়েছে আরও দুই হাজারের মতো। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন ক্যাম্প সংশ্লিষ্টরা।
উখিয়ার বালুখালী ৮-ডব্লিউ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সোমবার (২২ মার্চ) বিকেল ৩টায় প্রথমে আগুন লাগে। পরে সেই আগুন ক্যাম্পটির লাগোয়া ৮-এইচ, ৯ ও ১০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকাণ্ডে তুর্কি হাসপাতাল পুড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সহস্রাধিক বসতঘর পুড়ে যাওয়ায় কয়েক হাজার রোহিঙ্গা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পথে পথে ছুটছে। অনেকেই পরিবারসহ স্থানীয় গ্রামগুলোতে ঢুকে পড়ছে বলে জানা যায়।
আগুনে রোহিঙ্গাদের পাঁচ হাজারের অধিক, ঝুপড়ি ঘর, দোকানপাট পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন রোহিঙ্গা নেতা আবদুল গণি।
কক্সবাজারের ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক আতিকুর রহমান বলেন, পুড়ে যাওয়া বিভিন্ন ক্যাম্পে সাতজনের মরদেহ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে এক নারী, দুই শিশু ও চারজন বৃদ্ধ। কক্সবাজারস্থ অতিরিক্ত ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছু-দৌজা নয়ন জানিয়েছেন, সোমবার বিকেল ৩টায় উখিয়ার বালুখালীর ৮-ডব্লিউ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। বাতাসের গতিবেগ বেশি হওয়ায় তা দ্রুত পার্শ্ববতী ক্যাম্পগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এতে হাজারের অধিক বসতঘর ও দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। ইতোমধ্যে বালুখালী ৮-ডব্লিউ নম্বর ক্যাম্প সম্পূর্ণ ভষ্মীভূত হয়েছে। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক কর্মী ও স্থানীয়রা মিলে তা নেভানোর চেষ্টা চালায়। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও আগুন নিয়ন্ত্রণ কাজে যোগ দেন।
ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ক্যাম্পগুলো থেকে লোকজনকে অন্যত্রে সরিয়ে নেওয়া হয়। মধ্যরাতে সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। বর্তমানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও হতাহতের সংখ্যা নির্ধারণে কাজ চলছে। তবে আগুনের সূত্রপাতের কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি বলে জানান অতিরিক্ত ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার।