Home আন্তর্জাতিক শুক্রবার ঢাকায় আসছেন নরেন্দ্র মোদী

শুক্রবার ঢাকায় আসছেন নরেন্দ্র মোদী

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে মহান স্বাধীনতা দিবসে শুক্রবার ঢাকায় আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

শুক্রবার (২৬ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় অবতরণ করবেন তিনি।

বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন উপলক্ষে ২৬-২৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ সফরে আসছেন মোদী।

১০ দিনব্যাপী বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বিদেশি যে অতিথিরা বাংলাদেশে এসেছিলেন তাদের মধ্যে সবার আগে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম মোহাম্মদ সোলিহ ১৭ মার্চ ঢাকায় আসেন। এর একদিন পর ১৯ মার্চ দুই দিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দ রাজাপাকসে। পরে নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি দুই দিনের সফরে ঢাকা আসেন ২২ মার্চ।

এ দিকে, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং ২৪ ও ২৫ মার্চ বাংলাদেশে অবস্থান করেন। পরে ২৫ মার্চ সকাল ১০টা ১০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নিজ দেশের উদ্দেশে রওনা হন তিনি।

অন্যদিকে, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের শেষ পর্যায়ে মোদী হলেন মূল আকর্ষণ।

সফরের প্রথম দিন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে বিমানবন্দরে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে। পরে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করবেন তিনি। ওই দিন বিকালে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘গেস্ট অব অনার’ হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করবেন মোদী। সফরের দ্বিতীয় দিন ২৭ মার্চ সকালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা জানাবেন।

পরে একই দিনে ঢাকার বাইরে সাতক্ষীরা এবং গোপালগঞ্জে দুটি মন্দির পরিদর্শন করবেন তিনি। ২৭ মার্চ বিকালে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এবারের ঢাকা সফরে দুই দেশের মাঝে তিনটি চুক্তি স্বাক্ষরের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

এ দিকে, মোদীর এই সফর নিয়ে বুধবার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যায় নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, গেল বছর কোভিড মহামারি শুরুর পর নরেন্দ্র মোদীর এটিই প্রথম বিদেশ সফর। এ সফরের মধ্য দিয়ে ভারতের কাছে বাংলাদেশের গুরুত্ব প্রতিফলিত হবে। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে বেশ কিছু সমঝোতা হবে। তবে এই সফরে সব কিছুর ঊর্ধ্বে থাকবে মুজিববর্ষ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে ভারতীয়রাও বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিয়েছে। একটি দেশ স্বাধীন করতে প্রতিবেশী দুই দেশের একসঙ্গে হয়ে রক্তদান ও আত্মত্যাগ বিরল।

হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ সফরকালে ১৪ দল, সংসদে বিরোধী দল, মুক্তিযোদ্ধা, ‘কমিউনিটি লিডার’ ও ‘ইয়ুথ আইকন’দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে মিলে তিনি বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল জাদুঘর উদ্বোধন করবেন। এছাড়া তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি কমপ্লেক্সে যাবেন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। সাতক্ষীরা ও গোপালগঞ্জের ওড়াকান্দিতে মোদী উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন।

ভারতের পররাষ্ট্রসচিব শ্রিংলা বঙ্গবন্ধুকে ‘গান্ধী শান্তি পুরস্কার’ দেওয়ার তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু দুই দেশের সম্পর্ক ও জোরালো অংশীদারিত্বের ভিত্তি গড়েছিলেন। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এগিয়ে নিতে দুই দেশেরই জোরালো আগ্রহ আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সময়ে এ সম্পর্ক সত্যিকার অর্থেই ‘সোনালি অধ্যায়ে’ পরিণত হয়েছে।

সামনের ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সাথে সাক্ষাৎ শেষে সোয়া ৭টার দিকে দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।