বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
কোভিড রোধে ফাইজার ও বায়োএনটেকের যৌথভাবে বানানো ভ্যাকসিন এবং মোডার্না ইনকর্পোরেটেডের ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজই যথেষ্ট কার্যকরী। তা করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয় ৮০ শতাংশ। দ্বিতীয় ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে সংক্রমণের সম্ভাবনা কমে ৯০ শতাংশ।
আমেরিকায় ৪ হাজার জনের ওপরে সমীক্ষা করে এই তথ্য জানা গিয়েছে। সমীক্ষা করেছিল ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) নামে এক সংস্থা। তার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে সোমবার।
সিডিসি-র ডায়রেক্টর রকিলে ওয়ালেনস্কি বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, “সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে আমাদের জাতীয় ভ্যাকসিন কর্মসূচি কার্যকরী হচ্ছে।”
আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে ভারতে আসছে করোনার নতুন ভ্যাকসিন কোভোভ্যাক্স। ওই ভ্যাকসিন তৈরি করবে সেরাম ইনস্টিটিউট। তাদের প্রথম ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড বাজারে এসেছে ইতিমধ্যেই । ভারত ও একাধিক দেশকে তা সরবরাহও করছে তারা । কোভিশিল্ড তৈরিতে সিরাম হাত মিলিয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাসট্রাজেনেকার সঙ্গে।
ভারতে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া পুরোদমে চলছে, ভ্যাকসিনের ঘাটতি হওয়ার কোনও আশঙ্কাও নেই। তাই সিরাম দ্বিতীয় ভ্যাকসিন তৈরির প্রকল্প হাতে নিয়েছে। বৃহস্পতিবার পুণের এক হাসপাতালে তার ট্রায়াল শুরু হয়েছে। দিল্লির হামদর্দ ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চও এই ট্রায়ালে সামিল হবে। দেশের মোট ১৯টি জায়গায় ট্রায়াল চলবে, সামিল করা হবে ১১৪০ অংশগ্রহণকারীকে। বলা হচ্ছে, কোভোভ্যাক্স কোভিড ১৯ এর বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তোলায় এগিয়ে থাকতে পারে কেননা করোনা ভাইরাসের ভিন্ন ভিন্ন চেহারার বিরুদ্ধে প্রয়োগ করে এর ক্ষমতা যাচাই করা হয়েছে।
বিভিন্ন রিপোর্টে বলা হচ্ছে, ব্রিটেনে তৃতীয় দফার ট্রায়ালে ভাইরাসের মূল স্ট্রেনের বিরুদ্ধে কোভোভ্যাক্স ৯৬ শতাংশ কার্যকারিতা দেখিয়েছে, কিন্তু ভাইরাসের ব্রিটিশ চেহারার বিরুদ্ধে তার কার্যকারিতা ৮৬.৩ শতাংশ আবার দক্ষিণ আফ্রিকায় ফেজ টু-র ট্রায়ালে তার সামগ্রিক উপযোগিতা কমে ৪৮.৬ শতাংশ দেখা গিয়েছে।