বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
মিসরের সুয়েজ খালে আটকে যাওয়া দৈত্যকায় কন্টেইনার জাহাজ এমভি এভারগিভেনকে সরানোর পর বিশ্ববাণিজ্যে স্বস্তি ফিরেছে।
সুয়েজ খালের ওপর মিশরের অর্থনীতির অনেকটাই নির্ভর করে। করোনাভাইরাস প্যানডেমিকের আগে মিশরের জিডিপির প্রায় দুই শতাংশ আসতো সুয়েজ খাল থেকে পাওয়া মাশুল থেকে।
সুয়েজ খাল কর্তৃপক্ষের প্রধান ওসামা রাবি বলেন, খাল বন্ধ থাকায় প্রতিদিন তাদের গড়ে ১৫ মিলিয়ন (এক কোটি ৫০ লাখ) ডলার ক্ষতি হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতিতে এমনিতেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২ মহাদেশের বাণিজ্যিক সরবরাহ। এর মধ্যে সুয়েজ বন্ধ হওয়ায় রীতিমতো বিপদে পড়েছিল ইউরোপ ও এশিয়ার বাণিজ্য মহল। দৈনিক ৯০০ কোটি ডলারের ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছিল তাঁদের।
সুয়জ খাল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মিশরের তো বটেই পুরো বিশ্ব বাণিজ্যের বিশাল ক্ষতি হয়ে গেছে। এখনও বিশ্ব বাণিজ্যের ১২ শতাংশ এই খালের ওপর নির্ভরশীল। প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখ টন জ্বালানি তেল এবং বিশ্বের মোট তরলীকৃত জ্বালানি গ্যাস এই খাল দিয়ে পার হয়।
এভার গিভেনের দৈর্ঘ্য ৪০০ মিটার। মূলত এশিয়া-ইউরোপের মধ্যেই বাণিজ্যিক সরবরাহের কাজ করে এই জাহাজ। গত মঙ্গলবার সুয়েজের একমুখী সরু রাস্তায় বেকায়দায় পড়েই আটকে যায় জাহাজটি। অগভীর সুয়েজের বালিতে গেঁথে যায় জাহাজের তলদেশ। তাতেই আটকে যায় সুয়েজের গতিপথ। আটকে পড়ে ২ মহাদেশের বহু মালবাহী জাহাজও।
সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৪২ মিনিটে ফের পানিতে ভাসে এভার গিভেন। বার্নার্ড সালটে নাম এক সংস্থা সুয়েজে আটকে পড়া জাহাজগুলিকে উদ্ধারের কাজ করে। এভার গিভেনকে সরানোর কাজও করছিল তারাই।
ডেইলি মেইলে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সুয়েজ খালে আটকে যাওয়া এভারগিভেন-এ বিভিন্ন পণ্যের মধ্যে কেবল ২০টি কন্টেইনারে ভর্তি রয়েছে সেক্সটয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ডিলডো, ভাইব্রেটর এবং মেইল মাস্টারবেটর।