বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে দেশজুড়ে চলছে কঠোর বিধিনিষেধ। এর আওতায় সোমবার থেকে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন চলাচল। গণপরিবহন বন্ধ থাকার কারণে অফিসে পৌঁছাতে বা অন্য কোনো কাজে বাসা থেকে বের হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
আবার বাস না থাকার সুযোগে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন মোটরসাইকেল চালকরা। এতে অফিসগামী যাত্রীরা পড়েছেন বিপাকে।
তবে এরমধ্যেও অনেক জায়গায় নিজেদের মতো করে সমাধান বের করে নিচ্ছেন যাত্রী ও চালকরা। এমন চিত্রই দেখা গেল দেওয়ানহাট এলাকায়। সেখান থেকে মোটরসাইকেলে ইপিজেড- কাঠঘর পর্যন্ত যাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৯০ টাকায় থেকে ১০০ টাকা। তবে একা নন, ২ জন মিলে ভাড়া করে মোটরসাইকেলে চড়ছেন তারা। একজন ৯০ করে ২ জন থেকে ১শ ৮০ টাকা নিচ্ছেন চালক।
এ বিষয়ে বাইক চালক ফয়েজ মোহাম্মদ শাকিল বিজনেসটুডে২৪কে বলেন, গণপরিবহণ না থাকায় পুরো নগরীতে প্রায় এভাবেই এখন বাইকগুলো চলছে। লকডাউনের মধ্যে অফিস চালু আছে, চাকরিজীবীদের বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ভাড়া পড়ে যাচ্ছে বেশি। এভাবে যদি যাত্রীরা শেয়ারে যেতে পারেন তাহলে যাত্রীদেরও উপকার, পাশাপাশি আমাদেরও লাভ।
আরেক মোটরসাইকেল চালক আবরার মাহমুদ বলেন, স্বাভাবিক সময়ে দেওয়ান হাট থেকে ইপিজেড পর্যন্ত যাত্রীদের মোটরসাইকেল ভাড়া দিতে হতো ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা। কিন্তু এখন শেয়ারে ২ জন যাত্রী নিয়ে যাওয়ার ফলে আমরা ইপিজেড পর্যন্ত এক ট্রিপে ভাড়া পেয়ে যাচ্ছি ১৮০ টাকা। এতে আমাদের যেমন লাভ হচ্ছে, তেমনি যাত্রীরাও কম টাকায় নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন।
রিমন শাখাওয়াত নামের এক যাত্রী বলেন, অফিস খোলা, এ অবস্থায় আমরা কিভাবে অফিসে যাব-আসব? এটা নিয়ে কারো কোনো মাথা ব্যথা নেই। ৯০ টাকার এই সিস্টেমে আমাদের জন্য উপকারই হয়েছে।’
যেহেতু অফিস খোলা আর গণপরিবহনও বন্ধ। আমাদের তো একটা উপায় বের করতে হবে। করোনার ঝুঁকি থাকলেও তাই গাদাগাদি করে বাইকেই যাচ্ছি। এখানে কোনো স্বাস্থ্যবিধি নেই, তবুও আমাদের যেতে হচ্ছে। বিষয়টা খুবই দুঃখজনক। সব অফিসের তো আর নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা নেই। চাকরি টিকিয়ে রাখতে এভাবেই বাধ্য হয়ে করোনার ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে সবাইকে এমন কথাও বলেন অনেক মোটরসাইকেল যাত্রী।