কেন্দ্রীয়ভাবে মার্কিন সরকার ভ্যাকসিন পাসপোর্ট চালু করবে না। প্রেস সেক্রেটারি জেন পসাকি গণমাধ্যমকে বলেন, নাগরিকদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও অধিকার রক্ষা করা হবে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। ফলে অন্যান্য দেশে ভ্রমণসহ বিভিন্ন কাজে যাতায়াতের জন্য ভ্যাকসিন পাসপোর্ট চালুর বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। ভ্যাকসিন পাসপোর্টে কবে, কোথায়, কোন ভ্যাকসিন নিয়েছেন এমন তথ্য থাকবে।
তবে, সমালোচকরা এ ধরনের কার্যক্রম নিয়ে সমালোচনা করছেন। তাদের মতে, এর ফলে সমাজে বৈষম্যের সৃষ্টি হতে পারে।
মার্কিন কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের এ ধরনের কোনো প্রশংসাপত্রকে সমর্থন করেনি আর ভবিষ্যতেও করবে না বলে জানিয়েছে।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, করোনায় দেশটিতে ইতোমধ্যে পাঁচ লাখ ৫০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন। তিন কোটি ১৫ লাখের বেশি নাগরিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যা বিশ্বে সর্বোচ্চ।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন পসাকি গণমাধ্যমকে বলেন, মার্কিন নাগরিকদের প্রশংসাপত্র নিয়ে চলাফেরার বিষয়টি সরকার সমর্থন করে না। আর ভবিষ্যতেও করবে না। ফেডারেল সরকারের কাছে আমাদের খুবই সহজ চাওয়া। তা হলো, নাগরিকদের গোপনীয়তা ও অধিকার রক্ষা পাবে এবং জনগণের বিরুদ্ধে এসব পদ্ধতি কখনও ব্যবহার করা যাবে না।
করোনা মহামারি মোকাবিলায় বিশ্বে ভ্যাকসিন পাসপোর্ট নিয়ে বিশেষ আলোচনা চলছে। ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এমন পাসপোর্ট চালুর কথা জানানো হয়েছে। এর ফলে কনসার্ট ও খেলায় দর্শক থাকার অনুমতি দেওয়া যাবে। ভ্যাকসিন পাসপোর্টে করোনা সংক্রান্ত সব তথ্য লিখা থাকবে। কবে ভ্যাকসিন নিয়েছেন, সাম্প্রতিক কবে করোনা নেগেটিভ বা পজিটিভ হয়েছেন কিংবা সর্বশেষ করে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন।
ইউরোপিয় ইউনিয়ন এ ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। ইসরাইল ইতোমধ্যে করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণকারীদের জন্য ‘গ্রিন পাস’ কার্ড চালু করেছে। এই কার্ড হোটেল, জিম ও থিয়েটারে প্রবেশের ক্ষেত্রে লাগবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানিয়েছে যে ভ্রমণের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন পাসপোর্টের বিষয়টি সমর্থন করে না।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রধান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও দেশটির শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউসি বলেছিলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে মার্কিন সরকার ভ্যাকসিন পাসপোর্ট হয়তো চালু করবে না।