*প্রতি ট্রাকে ১শ কেজি খেজুর বরাদ্দ: জামাল উদ্দিন
*নাজমুল হোসেন*
চট্টগ্রাম: শনিবার (১০ এপ্রিল) থেকে ন্যায্যমূল্যের ট্রাকে খেজুর বিক্রি করবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। কেজি প্রতি দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০ টাকা। একজন ভোক্তা সর্বোচ্চ এক কেজি খেজুর কিনতে পারবেন টিসিবির ট্রাক থেকে।
টিসিবি চট্টগ্রাম অফিস প্রধান জামাল উদ্দিন বিজনেসটুডে২৪ কে বলেন, শনিবার থেকে ট্রাকে ৮০ টাকা কেজি দরে খেজুর বিক্রি করা হবে। প্রতি ট্রাকে ১০০ কেজি খেজুর বরাদ্দ করা হচ্ছে। এছাড়া ৮শ থেকে ১ হাজার ২শ কেজি চিনি, ৬শ থেকে ৭শ ৫০ কেজি মসুর ডাল, ১ হাজার ২শ থেকে দেড় হাজার লিটার সয়াবিন তেল, ৩শ থেকে ১ হাজার কেজি পেঁয়াজ এবং ৪শ থেকে ১হাজার কেজি ছোলা বরাদ্দ করা হয়েছে ।
এদিকে, টিসিবির ট্রাকে গেল ১ এপ্রিল থেকে প্রতি লিটার তেলের দাম ১০ টাকা বাড়িয়ে ১০০ এবং পাঁচ টাকা বাড়িয়ে প্রতি কেজি চিনি ৫৫ টাকা দরে বিক্রি করেছে। আগামী ৬ মে পর্যন্ত মসুর ডাল, চিনি, সয়াবিন তেল, পেঁয়াজের সঙ্গে ছোলা ও খেজুর কিনতে পারবেন ক্রেতারা।
ট্রাক থেকে একজন ক্রেতা ৫৫ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ চার কেজি চিনি, ৫৫ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ দুই কেজি মসুর ডাল, ১০০ টাকা দরে ২-৫ লিটার সয়াবিন তেল এবং ২০ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ ৫ কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারবেন। এছাড়া ৫৫ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি ছোলা ও কেজি ৮০ টাকা দরে এক কেজি খেজুর কিনতে পারবেন সাধারণ ক্রেতারা।
বাজারে নিত্য পণ্যের দাম বাড়তি থাকায় ট্রাকে টিসিবির ন্যায্যমূল্যের পণ্য বিক্রি কার্যক্রমে মানুষের চাহিদা দিন কে দিন বাড়ছে।
ক্রেতাদের অভিযোগ, সকাল ১১ টা থেকে টিসিবি পণ্য বিক্রির শুরুর কথা বললেও সময় মতো টিসিবির ন্যায্যমূল্যের ট্রাক গুলো আসেনা। নির্ধারিত স্থানে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকলে দেখা মিলছে তাদের।
এমন অভিযোগের বিষয়ে এই অফিস প্রধান বলেন, নগরে বিভিন্ন ওয়ার্ডে আমাদের পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সব ট্রাকে পণ্য বুঝিয়ে দিতে কিছু সময় লাগে। সাথে রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম তো আসেই। ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে নির্ধারিত জায়গায় অবশ্যই পণ্য বিক্রি করতে হবে। যেসব ডিলার আমাদের শর্ত ও নিয়ম মানবে না তাদের লাইসেন্স বাতিলসহ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ২২টি ট্রাকে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম চলছে। করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের আরোপ করা বিধিনিষেধের মধ্যেও নগরের বিভিন্ন এলাকায় টিসিবির ট্রাকের সামনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য কিনছেন ক্রেতারা।
যেসব স্থানে মিলছে টিসিবির পণ্য
২ নম্বর গেট, স্টিলমিল বাজার, চান্দগাঁও, কাঠঘর, ইপিজেড থানার সামনে, বন্দর থানার সামনে, আগ্রবাদের হোটেল সাংগ্রিনার সামনে, আদালতের সামনে, জামালখান, আলকরণ, নিউমার্কেট মোড়, বিবিরহাট, মুরাদপুর, উত্তর কাট্টলি, হালিশহর।
উল্লেখ্য, এ বছর নিত্যপণ্যের দামও বাড়তি থাকার কারণে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম বাড়িয়েছে টিসিবি। রমজানে যেসব পণ্যের বেশি চাহিদা থাকে সেগুলোর ১০ থেকে ১২ শতাংশ মজুদ রয়েছে টিসিবির।