সতেজ ও এনার্জিতে ভরপুর থাকার জন্য রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। এই স্তর বাড়লে যেমন সমস্যা, তেমনই কম হলেও চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখার নানান চেষ্টা সত্ত্বেও, অনেক ক্ষেত্রেই এটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এমন পরিস্থিতিতে নিজের ডায়েট ও জীবনযাপন প্রণালীকে কঠোর নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে বেঁধে ফেলা উচিত। এমন পরিস্থিতিতে ডাবের পানি আপনার রক্ষকের ভূমিকা পালন করতে পারে। এই ৬টি উপায় ডাবের পানি রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
১. মেটাবলিজম বাড়ায়- মেটাবলিজম বাড়ানোর জন্য ডাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি খিদে নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে। মেটাবলিজম বৃদ্ধির ফলে খাবার তাড়াতাড়ি হজম হবে।
২. পুষ্টিকর উপাদানে সমৃদ্ধ- ডাবের পানি আবার ফাইবার, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, সোডিয়াম ও আয়রনে সমৃদ্ধ। এই উপাদানগুলি রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৩. রক্ত চলাচল উন্নত করে- ডায়বিটিস থাকলে দুর্বল রক্ত চলাচলের সমস্যা দেখা দেয়। এর ফলে চোখের সমস্যা, পেশীতে ব্যথা, কিডনি বিকল হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। ডাবের পানি রক্ত চলাচল প্রক্রিয়াকে উন্নত করে ও শরীরে রক্তের প্রবাহকে স্বাভাবিক করে।
৪. ওজন কমাতে সাহায্য করে- ওজন বৃদ্ধি ব্লাড সুগারের স্তর বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। উল্লেখ্য, ডায়েবিটিসের শিকার ব্যক্তিরা অস্বাভাবিক ওজম বৃদ্ধির সমস্যায় ভোগেন। কিন্তু ডাবের পানি ক্যালরি কম থাকে এবং এটি বায়ো এনজাইমে সমৃদ্ধ, যা হজম শক্তি বাড়াতে উপযোগী। নিয়মিত ডাবের জল পান করলে অত্যধিক খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে, ফলে স্বাভাবিক ভাবেই ক্যালরির পরিমাণও কমে।
৫. গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্সও কম- ডাবের পানিতে গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স কম থাকে। এতে অতি অল্প পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি থাকে, যা গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি করে না।
৬. ফাইবারে সমৃদ্ধ ডাব- এতে ডায়েটারি ফাইবার অধিক পরিমাণে উপস্থিত। আবার এতে মজুত অ্যামিনো অ্যাসিড রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। শরীরের চিনি হজমে সাহায্য করে ফাইবার, ফলে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ডায়েবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে কত পরিমাণে ডাবের পানি পান করা উচিত?
রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে দিনে ১ থেকে ২ কাপ স্বল্পমিষ্টি বিশিষ্ট ডাবের জল পান করা উচিত।