চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী করোনা জনিত কোভিড-১৯ সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সরকার ঘোষিত লক ডাউন কঠোরভাবে পালনের জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি গণমাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেছেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণের উচ্চহার বৃদ্ধি উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। বর্তমাণে সংক্রমণের হার ও মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় প্রতিদিন পূর্বের রেকর্ড সীমা অতিক্রম করছে। এই পরিস্থিতিতে কঠোর লক ডাউন ঘোষণা করা ছাড়া আর কোন গত্যন্তর ছিলনা। কারণ গত সাত দিনে দেখা গেছে সরকারি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা সত্ত্বেও জনসাধারণের মধ্যে তা পালনে অনীহা-ঢিলেমী এবং অসচেতনতা পরিস্থিতিকে দ্রুত অবনতিশীল করেছে। তাই এখন জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তা রক্ষায় আর তিল পরিমান ছাড় দেয়া হলে বড় ধরণের মহা বিপর্যয় ডেকে আনবে। এই প্রেক্ষিতে সিটি মেয়র কঠোরভাবে লক ডাউনের বাধ্যবাধকতা মানার ক্ষেত্রে যাতে কোন ব্যত্যয় না ঘটে সে ব্যাপারে প্রাশাসন ও আইন শৃংখলা বাহিনীকে জিরো-টলারেন্স নীতি অবলম্বনের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তায় হুমকীর কারণগুলোর পুনরাবৃত্তি রোধে যা করা প্রয়োজন তা শতবাগ প্রয়োগ করতে হবে।
তিনি সকল জনপ্রতিনিধি, সামাজিক, পেশাজীবী ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের উদ্দেশ্যে বলেন, শুধুমাত্র প্রশাসন বা আইন শৃংখলা বাহিনী দিয়ে লক ডাউন সফলতা বা শতভাগ কার্যকর করা সম্ভব নয়। লক ডাউন চলাকালীন সময়ে প্রয়োজন ছাড়া মানুষকে ঘরে থাকতে হবে। বাহিরের জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এলাকাভিত্তিক অভিযান, প্রচারনা, উদ্বুর্ধকরণের দায়িত্ব স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সামাজিক ও রাজনৈতিক শক্তিকেই নিতে হবে এবং লক ডাউনের কার্যকারিতা অঞ্চল ভিত্তিক মনিটরিং ব্যবস্থাপনা চলমন রাখতে হবে।
মেয়র আরো বলেন, লক ডাউন চলাকালীন সময়ে অন্যান্য সেবা সংস্থাগুলোর মতই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা ও চিকিৎসা সহায়তাসহ জরুরী সেবা কার্যক্রমগুলো চলমান থাকবে। এ ছাড়া চসিক আইনসোলেশন সেন্টারে বিনামূল্যে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসাসহ সবধরণের সেবা দেয়ার জন্য সার্বক্ষনিক উম্মুক্ত থাকবে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অন্যান্য বিভাগগুলো বন্ধ থাকলেও নিয়োজিত জনবলের কেউ নগর ত্যাগ করতে পারবেন না অফিস প্রয়োজনে ডাক পড়লে তাদের অবশ্যই হাজির হতে হবে।