করোনার সংক্রমণ রোধে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল সারাদেশে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। ব্যাংক এবং শেয়ারবাজার খোলা রাখা হয়েছে। তবে এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যাতায়াতের সমস্যার সমাধান চেয়ে ডিএমপিকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) পক্ষ থেকে এ সমস্যার সমাধান চেয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার বরাবর একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (১৪ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে (ডিএমপি) দেয়া চিঠিতে বলা হয়, কঠোর লকডাউনের মধ্যেও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) শেয়ারবাজারের কার্যক্রম সীমিত আকারে চালু রেখেছে।
এতে আরও বলা হয়, ব্যাংক যেভাবে চলছে সেভাবেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই), ব্রোকারেজ হাউজ, মার্চেন্ট ব্যাংক, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের অফিসে আসা যাওয়ার জন্য রাস্তায় চলাচল করতে হবে।
১৫ এপ্রিল থেকে তাই শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টদের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য স্ব-স্ব আইডি কার্ডকে ‘মুভমেন্ট পাস’ হিসেবে বিবেচনা করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন।
কোভিড-১৯ মহামারিতে লকডাউনের মধ্যে মানুষের ‘অনিয়ন্ত্রিত ও অপ্রয়োজনীয়’ চলাচল কমাতে এবং জরুরি বিশেষ প্রয়োজনে যাতায়াতের সুবিধায় বাংলাদেশ পুলিশ চালু করছে ‘মুভমেন্ট পাস’ সেবা। জরুরি প্রয়োজনে ঘরের বাইরে চলাচলের জন্য ১৪টি শ্রেণিতে এ পাস দেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মোট ছয় লাখ নাগরিক বাইরে চলাফেরার অনুমতি চেয়ে মুভমেন্ট পাসের জন্য পুলিশের ওয়েবসাইটে ঢুকেছেন। তাদের মধ্যে সব ধাপ সম্পন্ন করে পাসের রেজিস্ট্রেশন করতে পেরেছেন মাত্র ৬০ হাজার নাগরিক। বাকিদের রেজিস্ট্রেশনের কোন না কোন ধাপে সার্ভার কাজ না করায় তারা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেননি। যেই ৬০ হাজার নাগরিক মুভমেন্ট পাসের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন তাদের মধ্যে ৩০ হাজার জনের পাস ইস্যু করা হয়েছে।
এ পরিস্থিতে সার্বিক দিক বিবেচনা করে আইডি কার্ড দেখিয়ে অফিস যাওয়ার সুবিধা চাইলো বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন।