Home চট্টগ্রাম ফিচার: শতবর্ষের আজগর আলী মসজিদ

ফিচার: শতবর্ষের আজগর আলী মসজিদ

হালিশহরের "আজগর আলী চৌধুরী জামে মসজিদ


নাজমুল হোসেন

চট্টগ্রাম: ইতিহাস ঐতিহ্যের ধারাকে লালন করে নগরীর হালিশহরের চৌধুরী পাড়ায় দাঁড়িয়ে আছে দৃষ্টি নন্দিত “আজগর আলী চৌধুরী জামে মসজিদ”।
যার সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিনই শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসে দর্শনার্থী ও সাধারণ মুসল্লীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মসজিদের সামনে  বিশাল পুকুর রয়েছে। দক্ষিণে বিশ শতক জায়গার উপর কবরস্থান। উত্তরে২৬ শতক জায়গার উপর আছে চৌধুরী পরিবারের প্রতিষ্ঠিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। মসজিদের  চারপাশ ও উপরিভাগে রয়েছে ২৪টি মিনার ও ৩টি গম্বুজ। যা মসজিদের সৌন্দর্য্যকে বৃদ্ধি করেছে বহুগুণ। দূর থেকে তাকালে মনে হয় যেন তাজমহল। মসজিদের মূল ফটক প্রবেশ করলে দৃষ্টি কেড়ে নেয় মসজিদের দেয়ালে মোঘল আমলের রীতিতে বসানো পাহাড়ি নকশা। এর কোন প্রান্তেই নেই জানালার অস্তিত্ব।
জানা গেছে, এ মসজিদটি বহন করে মোগল আমলের অনেক ইতিহাস। ১৭৯৫ সালে দশ শতক জায়গার উপর নির্মিত হয় তাজমহলের আকৃতির এই মসজিদটি। হালিশহরের সম্ভ্রান্ত চৌধুরী পরিবারের প্রয়াত সদস্য আজগর আলী চৌধুরী মসজিদটি নির্মাণ করেন। ২২৬ বছর পার করেও মানুষর আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু এই মসজিদ।
স্থানীয়রা জানান, অত্র হালিশহর এলাকার মধ্যে পোড়া মাটির এই মসজিদ তাদের অলংকার। এখানে নামাজ আদায় করতে বিভিন্ন এলাকার মানুষ প্রতিদিন আসে। যে মনোরম পরিবেশে মসজিদটি দাঁড়িয়ে আছে তা আর কোথাও আছে বলে মনে হয় না। 
তাঁরা আরো বলেন, অনেকে এখানে এসে ষাট গম্বুজ মসজিদ মনে করেন। আবার তাজমহলও। কারণ ষাট গম্বুজ মসজিদ বলেন আর তাজমহলই বলেন কোনো অংশে দিক থেকে কম নয়।
স্থানীয় বাসিন্দা আকরাম হোসেন জানান, মুসল্লীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সামনের অংশে তূর্কির নকশায় আরেকটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়। যাতে দেশিয় কোনো ইট, পাথর এমনকি সিমেন্ট পর্যন্ত ব্যবহার হয়নি। মূলত বেলজিয়াম পাথরের তৈরি হয়েছে তিন তলা ভবন। যিনি এর প্রতিষ্ঠাতা তিনি জীবিত নেই। তার বংশধররা এটি পরিচালনা করেন।

তূর্কি স্থাপত্যরীতিতে পাশের এই মসজিদ
মসজিদের সামনের বিশাল পুকুর