বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বৈঠকে করেছেন।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) রাত দশটার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ধানমন্ডির বাসায় দশ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এ বৈঠকে বসেন তারা।
বৈঠকে সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার ও মামলা এড়াতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন কোণঠাসা হয়ে পড়া হেফাজতের নেতারা।তবে কি নিয়ে বৈঠক হয়েছে জানতে চাইলে হেফাজতের কোনো নেতা এনিয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
এসময় বৈঠকে অংশ নেওয়া হেফাজতের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে আছেন দলটির নায়েবে আমীর মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজী, হেফাজতের মহাসচিব নূরুল ইসলাম জেহাদী, মামুনুল হকের ভাই বেফাকের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান (দেওনার পীর), মাওলানা হাবিবুল্লাহ সিরাজী প্রমুখ।
এর আগে দুপুরে মালিবাগে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) কার্যালয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে হেফাজতের মহাসচিব মাওলানা নূরুল ইসলাম জিহাদীর নেতৃত্বে একটি দল সাক্ষাৎ করে।
গত ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ-সহিংসতার জেরে ডাকা হরতালে সারাদেশে উত্তাল অবস্থা তৈরি হয়। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ভাঙচুর ও সহিংসতা চালান হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা।
হরতাল ও সহিংসতার রেশ না কাটতেই হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসসিব মামুনুল হকের রিসোর্টকাণ্ড। বেরিয়ে আসে একাধিক বিয়ের ঘটনা। এসব ঘটনায় হেফাজতের প্রায় ৯ কেন্দ্রীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
গত ১১ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলামাবাদী ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-অর্থ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগরী কমিটির সহ-সভাপতি মুফতি ইলিয়াসকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ১৩ এপ্রিল হেফাজতের কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার সম্পাদক মুফতি শরীফ উল্লাহ, ১৪ এপ্রিল সহকারী মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি ও কেন্দ্রীয় নেতা সাখাওয়াত হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরপর শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) মাওলানা যুবায়ের আহমেদ ও শনিবার (১৭ এপ্রিল) মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমেদ নামে হেফাজতের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সর্বশেস রবিবার হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সেক্রেটারি মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।