বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: গেল বছর লকডাউনের সময় চট্টগ্রাম বন্দর যে নজিরবিহীন সংকটে পড়েছিল এবার যাতে সেরকম পরিস্থিতি উদ্ভব না হয় তারজন্য এখনই সতর্ক কর্তৃপক্ষ। কন্টেইনার ডেলিভারি নেয়া জোরদার করার জন্য চিটাগাং চেম্বার, বিজিএমইএ এবং শিপিং এজেন্টস এসোসিয়েশনের সহায়তা চেয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বন্দর ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কন্টেইনার রাখার সক্ষমতা ৪৯,০০০ টিইউস। এর বিপরীতে সোমবার ছিল ৩৫,০০০ টিইউস। কিন্তু প্রতিদিন যে হারে জাহাজ থেকে পণ্যভর্তি কন্টেইনার খালাস হয়, সে হারে ডেলিভারি না হলে এক পর্যায়ে গিয়ে জট লেগে যাবে। আর তার জেরে জাহাজ জটও তৈরি হবে। যা গেল বছর ভয়াবহ সংকটে ফেলেছিল বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রমকে। বর্তমানে সিঙ্গাপুর বন্দরে জটের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ কমে গেছে। শিপিং সংশ্লিষ্টরা জানান, সিঙ্গাপুরের জট চলতি মাসের মধ্যে কেটে যেতে পারে। তখন চট্টগ্রামমুখি জাহাজ বেড়ে যাবে এবং কন্টেইনার ডেলিভারি নেয়ার হার বৃদ্ধি না পেলে জট তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। সেটা হলে জাহাজের টার্ন এরাউন্ড টাইমও বেড়ে যাবে।
বন্দরের ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে আরও জানা গেছে, ডেলিভারি কার্যক্রম সাপ্তাহিক বন্ধের দিন এবং সরকারি ছুটির দিনসহ প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা চালু রয়েছে। আমদানিকারকরা যাতে এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দ্রুত তাদের পণ্য ডেলিভারি নেন তার জন্য চিটাগাং চেম্বার, বিজিএমইএ এবং বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস এসোসিয়েশনের সহায়তা চেয়ে পত্র দেয়া হয়েছে রবিবার ( ১৮ এপ্রিল )।