বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
ব্যাংকিং জগতের বিশিষ্ট ব্যাক্তিত্ব শফিউল আলম খান চৌধুরী পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পদে নিযুক্ত হয়েছেন। তিনি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক এমডি-সিইও পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার পূর্বে ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
বাংলাদেশে আধুনিক ব্যাংকিং জগতের অন্যতম সৃজনশীল ব্যক্তিত্ব শফিউল আলম খান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে সম্মানসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর ব্যাংকিং সেক্টরকে নিজের পেশা হিসাবে বেছে নেন এবং ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট কমিটির প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে শিক্ষানবীশ সিনিয়র অফিসার পদে পূবালী ব্যাংকে যোগদান করেন।
তিনি সুদীর্ঘ প্রায়-চার দশকের পেশাগত স্বচ্ছতা, বাস্তব অভিজ্ঞতা, সততা ও দক্ষতার মাধ্যমে উদ্ভাবনী, সৃজনশীল, আধুনিক, প্রযুক্তি-নির্ভর ব্যাংকিং সেক্টরে অনবদ্য অবদান রেখে পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের শীর্ষতম পদে নিযুক্তি লাভের গৌরব অর্জন করেন। কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায়, নিষ্ঠা ও একাগ্রতার মাধ্যমে একই ব্যাংকে পেশাজীবনের সূচনা করে থেকে শীর্ষতম পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার শফিউল আলম খান চৌধুরীর উজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ পেশাজীবনের প্রমাণবহ এবং বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টরের অনন্য দৃষ্টান্ত।
পূবালী ব্যাংকের বিগত দায়িত্ব পালনকালে তিনি প্রধান কার্যালয়ে ক্রেডিট কমিটির প্রধান, বিভিন্ন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক, কর্পোরেট শাখা প্রধান, ঢাকা উত্তর অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রধান, উপ-ব্যবস্থাপক পরিচালকসহ ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশের ব্যাংকিং সংক্রান্ত বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নেন এবং একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টরের একজন নেতৃস্থানীয় বিশেষজ্ঞ ও রিসোর্স পার্সন রূপে সমাদৃত।
পূবালী ব্যাংকের এমডি-সিইও, বিশিষ্ট ব্যাংকার শফিউল আলম খান চৌধুরী নেত্রকোণা জেলার গোবিন্দশ্রী গ্রামের একটি শিক্ষিত ও সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম ফয়েজুর রহমান খান চৌধুরী এবং মাতা খালেদা আক্তার খাতুন।
তিনি মানবতাবাদ, জনকল্যাণ ও জনমুখী মনোভাবের একনিষ্ঠ অনুসারী।