বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: ১৩৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান বলেছেন যে একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বন্দরের আধুনিকায়ন, যন্ত্রপাতি সংযোজনসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক বিবৃতিতে আরও বলেন, এই বন্দর বাংলাদেশের আমদানী ও রপ্তানীর ৯২ শতাংশেরও অধিক পণ্য এবং ৯৮ শতাংশ কনটেইনারজাত পণ্য হ্যান্ডলিং করে থাকে। ২০২০ সনে বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতিতেও এই বন্দর ২৮ লক্ষাধিক কন্টেইনার হ্যান্ডেল করেছে। ২০০৯ সালে প্রথম বারের মত চট্টগ্রাম বন্দর ১০০টি কন্টেইনার পোর্টের তালিকায় ৫৮তম অবস্থান নিয়ে নিজের স্বীকৃতি অর্জন করে৷ মাত্র ১১ বছরে ৪০ ধাপ এগিয়ে ২০২০ সালে চট্টগ্রাম বন্দর ৫৮তম অবস্থানে উন্নীত হয়। এই অর্জন বর্তমান সরকারে চলমান অর্থনৈতিক উন্নয়নেরই প্রতিফলন।
বর্তমানে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম বন্দর এক কঠিন সময় অতিবাহিত করছে। সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটিকালীন কর্মকতা-কর্মচারী এবং শ্রমিকরা দেশের সাপ্লাই চেইন নির্বিঘ্ন রাখার স্বার্থে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে রাতদিন কাজ করে যাচ্ছেন। বন্দর ব্যবহারকারী স্টেকহোল্ডারদের আন্তরিক সহযোগিতার কারণে এবং চবক কর্তৃক গৃহিত নানাবিধ ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে করোনার ২য় ঢেউ চলাকালীন বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। বর্তমানে বন্দর অভ্যন্তরে কোন জাহাজ জট বা কন্টেইনার জট নেই ।
বাংলাদেশের সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মূল্যায়নে পরিকল্পনা কমিশন চট্টগ্রাম বন্দরের নেতৃত্ব ও ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেছে এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ব সকল প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরকে অনুকরণীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে মন্তব্য করেছে। চট্টগ্রাম বন্দরের এসকল অর্জনের ভাগিদার বন্দরের সকল অংশীজনসহ সকল সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা এবং সকল প্রতিষ্ঠান। সকলের সহায়তার বিষয়টি বন্দর কর্তৃপক্ষ কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছে।
রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান বন্দর ব্যবহারকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।