দিল্লি: সরকারি উড়ান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া বন্ধ হচ্ছে না। সংস্থার চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর অশ্বিনী লোহানি আজ শনিবার টুইট করে বলেছেন, এয়ার ইন্ডিয়া এখনও দেশের বৃহত্তম বিমান পরিবহন সংস্থা, বন্ধ হওয়ার প্রশ্নই ওঠে ন।
বিপুল ঋণের দায় ধুঁকছে সরকারি উড়ান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া। এমন পরিস্থিতিতে বেসরকারিকরণ না হলে সংস্থার ঝাঁপ বন্ধ করে দিতে হবে এমন কথা আগেই জানিয়েছিল কেন্দ্র। মাঝখানে খবর রটেছিল খুব দ্রুতই নাকি বন্ধ হতে চলেছে এয়ার ইন্ডিয়া। সেই প্রসঙ্গ টেনেই টুইট করে সংস্থার চেয়ারম্যান বলেছেন, “কে বলেছে এয়ার ইন্ডিয়া বন্ধ হবে? ভিত্তিহীন গুজব রটানো হচ্ছে। বরং এই বিমান সংস্থাকে আরও বড় করে তোলার চেষ্টা চলছে।”
সরকারি উড়ান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৮ হাজার কোটি টাকা। অক্টোবরের শুরুতে এয়ার ইন্ডিয়ার ম্যানেজমেন্ট ট্রেড ইউনিয়নগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসে। তাদের বলা হয়, লোকসানে চলা বিমান সংস্থার বেসরকারিকরণ করা হবে। বেশিরভাগ ইউনিয়নই বেসরকারিকরণের বিরোধিতা করেছিল। তাদের আশঙ্কা ছিল, সেক্ষেত্রে বহু কর্মী কাজ হারাবেন।
একসময় শোনা গিয়েছিল, ঋণে ডুবে থাকা এয়ার ইন্ডিয়া কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না কোনও ক্রেতা। ইন্ডিগো এবং জেট এয়ারওয়েজের মতো সংস্থা প্রথমে আগ্রহ দেখিয়েও পরে পিছিয়ে গিয়েছিল। এয়ার ইন্ডিয়ার বিপুল ঋণ তো আছেই, তার ওপরে এক দশকের বেশি সময় ধরে সংস্থাটি লোকসানে চলছে।
দীর্ঘ সাত মাস জ্বালানি এবং এভিয়েশন টার্বাইন ফুয়েল (এটিএফ)-এর খরচ মেটায়নি এয়ার ইন্ডিয়া। সেই টাকা মেটানো না পর্যন্ত তাদের জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন (আইওসি), ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসিএল) এবং হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম কর্প (এইচপিসিএল)-এর মতো সংস্থাগুলি।
গত অক্টোবর থেকে বেতন পাচ্ছেন না কর্মীরা। এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সব কর্মীদের বেতন দিতে প্রতি মাসে ৩০০ কোটি টাকা করে দরকার বিমান সংস্থার। সেই টাকার জোগান এই মুহূর্তে তাদের কাছে নেই।
বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক