বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
কলকাতা: আটকেপড়া বাংলাদেশিদের দেশেফেরা নতুন করে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ মে) থেকে আটকেপড়া নাগরিকরা বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে যেতে পারবেন না। তাদের যেতে হলে বাংলাদেশের বুড়িমারী ও আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে যেতে হবে।
আটকেপড়া নাগরিকরা ঐ দুটি সীমান্ত দিয়ে যেতে ইচ্ছুক নন। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মূলত তারা স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি ও অর্থ সংকটের কারণে যেতে রাজি হচ্ছে না। তাছাড়া আটকেপড়া বেশিরভাগই যশোর, খুলনা, মাগুরা, ঝিনাইদহ ফরিদপুর, মাদারীপুর, বরিশাল এলাকর বাসিন্দা।
বরগুনার বাসিন্দা গোলাম কবির। ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য তিনি ভারতে এসেছিলেন। তিনি বলেন, সরকারি আইন মেনেই তো আমরা দেশে ফিরতে রাজি কিন্তু নিত্যদিন সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে আমরা বেসামাল হয়ে পড়েছি।
খুব কষ্টে আছি। যশোরের বাসিন্দা আসরাফুল ইসলাম বলেন, অসুস্থ শরীর নিয়ে কীভাবে আমরা বুড়িমারী বা আখাউড়া দিয়ে যাব? এতটা পথ ঘুরে যেতে পারব না, তাছাড়া আমার কাছে কোন পয়সা-পাতি নেই। খেতে পারছি না। আমি বেনাপোল দিয়ে গেলে অল্প পথ, তাই বেনাপোল দিয়ে যেতে চাই।
কলকাতার উপ-হাকমিশনার তৌফিক হাসান বলেন, গত ২৬ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত প্রায় দু’হাজার বাংলাদেশি নাগরিককে এনওসি দেয়া হয়েছে। এদের সবাইকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয় কিন্তু বেনাপোল বন্দরে আইসোলেশন সেন্টারে স্থান সংকুলান না হওয়ায় সেখানকার বন্দর ও জেলা প্রশাসনের অনুরোধে আজ থেকে আমরা বুড়িমারী ও আখাউড়া দিয়ে যারা যাবে শুধু তাদেরই এনওসি দেয়া হচ্ছে।
চিকিৎসাসহ বিভিন্ন কাজে ভারতে এসে আটকেপড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফেরাতে দিনরাত কাজ করছে কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনের কন্স্যুলার বিভাগ।
জানা গেছে, সরকারি বিধি অনুযায়ী এই পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৭শ’ ১৭ জনকে দেশে ফেরার অনুমতিপত্র দিয়েছে উপ-হাইকমিশন। বেনাপোল পৌঁছালে এদের সবাইকে কোভিড আইনানুয়ায়ী ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।
কলকাতা উপ-হাইকমিশনের কন্স্যুলার মো. বশিরউদ্দীন জানান, বুধবার কলকাতায় আটকেপড়া আরও ৩৫০ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরার এনওসি দিয়েছে তারা।