বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: টানা কয়েক মাস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর অবশেষে কমতে শুরু করেছে চালের বাজারদর। তবে পুরনো চালের বাজারদর অপরিবর্তিত রয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন চালের বস্তাপ্রতি দাম ২০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।
১০ দিন ধরে দেশের বাজারে নতুন মৌসুমের চাল আসছে। এর আগে দেশে চালের দরবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ভারত ও বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি শুরু হয়। এতে ঊর্ধ্বমুখী চালের বাজার কিছুটা স্থিতিশীল হয়। টানা পাঁচ-ছয় মাস চালের বাজার অস্থির ছিল। কিন্তু সর্বশেষ বোরো মৌসুমের ধান কাটার শেষ পর্যায়ে বাজারে নতুন চাল আসতে শুরু করলে বাজার নিম্নমুখী হতে থাকে।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, নতুন চাল সরবরাহ শুরু হওয়ায় দাম কমছে। তবে এক বছর ধরে দেশে চালের বাজারদার অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় নতুন মৌসুমের চালেও ভালো লাভ করছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।
দেশে ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ ও চাক্তাইয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাজারে নতুন আসা স্বর্ণা সেদ্ধ চাল বিক্রি হচ্ছে বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) ২ হাজার ১০০ টাকায়। যদিও একই জাতের পুরনো চাল বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২৫০ টাকায়। এছাড়া পুরনো গুটি সেদ্ধ চাল ২ হাজার ১৫০ টাকায় বিক্রি হলেও নতুন গুটি সেদ্ধ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার টাকায়। এদিকে মোটা জাতের সেদ্ধ চাল ১ হাজার ৮০০ টাকায় (পুরনো ১ হাজার ৯০০ টাকা), মিনিকেট সেদ্ধ চাল ২ হাজার ৪০০ (পুরনো ২ হাজার ৬০০), পারি সেদ্ধ চাল ২ হাজার ৩০০ (পুরনো ২ হাজার ৫৫০), জিরাশাইল ২ হাজার ৭৫০ (পুরনো ৩ হাজার ৫০ টাকা) ও নাজিরশাইল ২ হাজার ৮০০ টাকায় (পুরনো ৩ হাজার টাকা) বিক্রি হচ্ছে।
চট্টগ্রাম রাইস মিল মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি ও পাইকারি চাল ব্যবসায়ী শান্ত দাশগুপ্ত বলেন, লকডাউন ঘোষণার পর থেকে পাইকারি বাজারে চালের দাম বেড়ে যায়। তবে বোরো ধানের ফলন আসার পরই দাম কমতে শুরু করেছে। যদিও পাইকারি বাজারে দাম কমলেও খুচরা বাজারে এখনো এর প্রভাব পড়েনি।