বিজনেসটেুডে২৪:
কর্ণফুলী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন না করায় চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যানকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
২৬ জানুয়ারি আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রবিবার এ আদেশ দেন।
আদালতে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন। সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশের পর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন। বন্দর কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এলাকার অবৈধ স্থাপনাসমূহ আর উচ্ছেদ করা হয়নি।
ফের আদেশ দেন আদালত। কিছু স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত পুনরায় ৩ মাস সময় দেন বন্দরকে। এরপরও কোন ব্যবস্থা না নিয়ে আবার সময়ের জন্য আবেদন জানানো হয়। এরপ্রেক্ষিতে ঐ আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
২০১০ সালে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট করে। রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট আদালত কর্ণফুলী নদীর তীরে থাকা ২ হাজার ১৮৭টি অবৈধ স্থাপনা সরানোর পাশাপাশি ১১ দফা নির্দেশনা দেন।
রায়ের অনুলিপি বিবাদীদের কাছে পাঠানো হলেও সংশ্নিষ্টরা তা বাস্তবায়নে কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় রায় বাস্তবায়নের বিষয়ে পরবর্তীতে আইনি নোটিশও পাঠানো হয়। কিন্তু বিবাদীদের কাছ থেকে জবাব না পেয়ে তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়।
ওই আবেদনের শুনানি শেষে আদালত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে কর্ণফুলী নদী রক্ষায় উচ্চ আদালতের নির্দেশনার বাস্তবায়ন না করায় চট্টগ্রামের মেয়রসহ আট জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করে। এরপরই জেলা প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে।