বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ বুধবার দেশের দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে আঘাত হানতে পারে। তবে সেটা কেমন শক্তি নিয়ে আঘাত করবে তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না বলে জানালেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান।
বঙ্গোপসাগরের আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের কাছাকাছি এলাকায় আজ একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হতে পারে। লঘুচাপটি আগামীকাল রবিবার নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি ২৬ মে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে আঘাত করতে পারে বলে বাংলাদেশ আবহাওয়া বিভাগের আশংকা। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে, লঘুচাপটি আগামীকাল রবিবার নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। ২৬ মে সেটি বাংলাদেশে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে আঘাত করতে পারে।
এদিকে, গত কয়েকদিন ধরে চলছে তাপদাহ। হিমশিম খাচ্ছেন মানুষ। বৃষ্টির দেখা নেই। ভোর হতে না হতেই চড়া রোদে নাজেহাল অবস্থা।
ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর বলেছে: ২৩ মে থেকে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও আন্দামান সাগরে ঘণ্টায় ৪৫-৬৫ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৬৫ কিমি। ২৩ মে’পর থেকে হাওয়ার বেগ আরও বাড়তে থাকবে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তাল হতে পারে সমুদ্র।
এদিকে, গত বছর আমফানের তাণ্ডবে তছনছ হয়েছিল বাংলার একাংশ। এবার ঘূর্ণিঝড় যশ মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে প্রশাসন।
ঘূর্ণিঝড়ের নাম কে রাখল?
এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম রেখেছে ওমান। নাম যশ বা ইয়াস। যার মানে হল দু:খ। পারসি ভাষা থেকে এই শব্দটি এসেছে। ভারত, বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা-সহ ১৩টি দেশ নিয়ে গঠিত কমিটি এই নাম ঠিক করেছে।
আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, যে মহাসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়, তার অববাহিকায় থাকা দেশগুলি নামকরণ করে। পৃথিবীতে মোট ১১টি সংস্থা ঝড়ের নাম ঠিক করে। ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন ও ইউনাইটেড নেশনস ইকোনমিত অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়ার সদস্য দেশগুলি ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ শুরু করে।
যশের পর আরও যে ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করা হয়েছে, সেগুলি হল গুলাব, সাহিন, জাওয়াদ, অশনি, সীতরাং, মানদৌস, মোচা।