বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনার প্রকোপের মধ্যেও প্রবাসী বাংলাদেশিরা রেমিট্যান্স পাঠানো অব্যাহত রেখেছে। চলতি মে মাসের প্রথম ২০ দিনে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে এসেছে, তা গত বছরের একই সময়ের পুরো মে মাসের অংককে ছাড়িয়ে গেছে।
বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, করোনাকালীন প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে প্রবাসীরা চলতি মে মাসের প্রথম ২০ দিনে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ১৫৮ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। গেল বছর মে পুরো মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৫০ কোটি ৪৬ লাখ ডলার। সেই হিসাবে ২০ দিনেই পুরো মাসের চেয়ে ৮ কোটি ৪২ লাখ ডলার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। প্রবাসী আয়রে এ গতি অব্যাহত থাকলে চলতি মে মাস শেষে রেমিট্যান্স আহরণ ২৪০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
এপ্রিলে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ২০৬ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার (২.০৬ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে) যার পরিমাণ ১৭ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা। যা আগের বছরের একই মাসের চেয়ে প্রায় ৯০ শতাংশ বেশি। গত বছর এপ্রিলে রেমিট্যান্স এসেছিল ১০৯ কোটি ডলার।
এর আগে করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে গত বছরের জুলাই মাসে রেকর্ড রেমিট্যান্স পায় বাংলাদেশ। ওই মাসে প্রবাসীরা প্রায় ২৬০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। এর আগে কোনো একক মাসে এতো রেমিট্যান্স আসেনি।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, বর্তমানে ১৭৪টি দেশে বাংলাদেশ শ্রমিক পাঠিয়ে আসছে, অংকে যার সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ২০ লাখের বেশি। যাদের তিন-চতুর্থাংশ কর্মরত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে এক হাজার ৮২০ কোটি ডলার বা ১৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলের প্রবাসীরা। অর্থবছর হিসেবে যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ। তারও আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স আহরণের রেকর্ড হয়। ওই সময় এক হাজার ৬৪২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে দেশে।
২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। অর্থাৎ কোনো প্রবাসী ১০০ টাকা দেশে পাঠালে তার সঙ্গে আরও ২ টাকা যোগ করে মোট ১০২ টাকা পাচ্ছেন সুবিধাভোগী। এছাড়া ঈদ ও উৎসবে বিভিন্ন ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সকারের প্রণোদনার সঙ্গে বাড়তি এক শতাংশ দেওয়ার অফার দিচ্ছে। এতে করে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহী হচ্ছেন প্রবাসীরা।