Home Second Lead বিদেশি শিল্পী দিয়ে বিজ্ঞাপনে সরকারি ফি ২ লাখ টাকা

বিদেশি শিল্পী দিয়ে বিজ্ঞাপনে সরকারি ফি ২ লাখ টাকা



বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

ঢাকা: বিদেশি শিল্পী নিয়ে বিজ্ঞাপন চিত্র নির্মাণে শিল্পীপ্রতি ২ লাখ টাকা সরকারি ফি পরিশোধের নিয়ম রেখে এ সংক্রান্ত নীতিমালা সংশোধন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘আমরা নীতিমালায় সংযোজন করেছি, আপনি বিদেশি শিল্পী দিয়ে বিজ্ঞাপন তৈরি করতে পারবেন। যে টেলিভিশন এই বিজ্ঞাপন প্রচার করবে, সেই টেলিভিশনকেও এককালীন ২০ হাজার টাকা করে দিতে হবে। এটা করে কেউ বিজ্ঞাপন বানাতে চাইলে বানাক। দেশীয় শিল্পী ও শিল্প রক্ষায় এটা করা হয়েছে।

রবিবার (৬ জুন) সচিবালয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নবনির্বাচিত নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

সম্প্রতি সংশোধিত দেশীয় চলচ্চিত্র ও বিজ্ঞাপনে বিদেশি অভিনয়শিল্পী, কলাকুশলী, সংগীতজ্ঞ ও সংগীতশিল্পী অংশগ্রহণ বিষয়ে নীতিমালা জারি করে তথ্য মন্ত্রণালয়।

নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, কোনো কাজের জন্য বিনা পারিশ্রমিকে বিদেশি শিল্পী চুক্তিবদ্ধ করা যাবে না। সম্পাদিত চুক্তিপত্রে পারিশ্রমিকের পরিমাণ ও পরিশোধের পদ্ধতি উল্লেখ করতে হবে। আর বিদেশি শিল্পী ও কলাকুশলীদের সম্মানি দেশের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী আয়কর ও ভ্যাটের আওতাভুক্ত হবে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে চিত্রনাট্য পেশ করার সময় বিদেশি শিল্পী ও কলাকুশলীদের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তিপত্রের নোটারাইজড কপিসহ প্রয়োজনীয় তথ্যাদি জমা দিতে হবে। বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম।গল্পের প্রয়োজনে দেশের বাইরে শুটিংও সাধারণ প্রবণতা হয়ে উঠেছে। সরকারের পূর্বানুমতি ছাড়া এখন থেকে আর এসব করা যাবে না।

কোনো শর্ত লঙ্ঘিত হলে সরকার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে, তা চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

মহামারীর মধ্যে দেশের চলচ্চিত্র শিল্প যে সঙ্কটে পড়েছে, সেখান থেকে দুই বছরের মধ্যে ঘুরে দাঁড়ানো যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তথ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “দেড় বছর ধরে করোনা, তারপরও চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নের জন্য এমন অনেকগুলো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যেগুলো পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত-পাকিস্তানেও নেওয়া হয়নি। সিনেমা হল পুনরায় চালু করা, আধুনিকায়ন, নতুন সিনেমা হল স্থাপনের জন্য সরকার এক হাজার কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিল গঠন করেছে।

“আমরা যে প্রণোদনা ও উদ্যোগগুলো গ্রহণ করেছি, সেগুলো এখনও দৃশ্যমান হচ্ছে না। এগুলো দৃশ্যমান হবে এক বছরের মাথায়, যদি করোনা চলে যায় বা কমে যায়। আমি আশা করছি ২ বছরের মাথায় চলচ্চিত্র শিল্প পরিপূর্ণভাবে ঘুরে দাড়াবে।”

গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু ফিল্ম সিটির অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ওই প্রকল্পের দরপত্র ডাকা হয়েছে।

“সেটা ইভালুয়েট করা হচ্ছে। সহসা সেটা অ্যাওয়ার্ড হলে কাজ শুরু হবে। সাড়ে ৩০০ কোটি টাকার প্রজেক্ট। সেখানে বেশ কয়েকট ফ্লোর থাকবে। আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা থাকবে।“

চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সমস্যার কথা বৈঠকে তুলে ধরেন।

অন্যদের মধ্যে তথ্য সচিব মো. মকবুল হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।