বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
আগামী বছরের জুনের মধ্যে পাট থেকে উৎপাদিত বায়োডিগ্রেডেবল পলিথিন বাজারজাত করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ট্রাস্টি বোর্ডের ৫৪তম ভার্চুয়াল সভায় মন্ত্রণালয় থেকে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন। জানান, প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দেয়ার পরেও নানা সীমাবদ্ধতার কারণে পাট থেকে উৎপাদিত পলিথিন বাজারজাত করা সম্ভব হয়নি।
পরিবেশ দূষণকারী পলিথিন ব্যাগের বিকল্প হিসেবে পাটের তৈরি ব্যাগ উদ্ভাবনে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানালেন মন্ত্রী। বলেন, ‘এ লক্ষ্যে সরকার জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট উদ্ভাবককে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ প্রদান করেছে। কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে এখনও পাট হতে বাজারজাত করনের মতো বায়োডিগ্রেডেবল পলিথিন প্রস্তুত করা সম্ভব হয়নি। উদ্ভাবক ২০২২ সালের জুনের মধ্যেই এটা করতে সক্ষম বলে মত প্রকাশ করেছেন।’
বিকল্প পলিথিনের ব্যবহার প্রচলন করতে পারলে দেশের পরিবেশ সংরক্ষণে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে মনে করেন পরিবেশমন্ত্রী। জানান, সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।
শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেইঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৩ হাজার ৩৬২ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭৮৯টি প্রকল্প নেয়া হয়েছে। জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কল্যাণে নেয়া এসকল প্রকল্প যথাযথভাবে বাস্তবায়নে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।’
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, পরিবেশ উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব জিয়াউল হাসান, পানি সম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাতসহ জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা।