Home First Lead জামিন জালিয়াতি: ২ আইনজীবীকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ

জামিন জালিয়াতি: ২ আইনজীবীকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

ঢাকা: বগুড়া সদর উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি (ভারপ্রাপ্ত সভাপতি) ও কাউন্সিলর মো. আমিনুল ইসলামসহ ৩০ আসামির ক্ষেত্রে হাইকোর্টের ভুয়া জামিনাদেশ তৈরির সঙ্গে ঢাকা ও বগুড়ার দুই আইনজীবীসহ চারজনের সম্পৃক্ততা পেয়েছে পুলিশের অপরাধ গোয়েন্দা বিভাগ(সিআইডি)। জড়িতদের মধ্যে দুই আইনজীবীসহ তিনজনকে দুই সপ্তাহের মধ্যে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জালিয়াতির ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে আগামী ২৩ জুন স্বশরীরে হাজির হতে বলা হয়েছে। তাকে এ সময়ের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেন। আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিস্ট আদালতে দায়িত্বরত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারান্নুম রাবেয়া মিতি।
যাদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তারা হলেন- ঢাকা জেলা আদালতের আইনজীবী রাজু আহমেদ রাজিব ও বগুড়া আদালতে আইনজীবী তানজিম আল মিসবাহ। ভুয়া জামিননামা তৈরিকারক কম্পিউটার অপারেটর মো. মাসুদ রানা। এছাড়া আইনজীবী সহকারি মো. সোহাগকে এরইমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোহাগ ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীও দিয়েছে।
হাইকোর্টের জামিন জালিয়াতির ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল শাহবাগ থানায় মামলা করেন। এ জালিয়াতির ঘটনা অনুসন্ধান করে সিআইডি। ঘটনার সঙ্গে চারজনের সম্পৃক্ততা মেলে। এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করতে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়। গতকাল ওই প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করেন সংশ্লিস্ট ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল। এরপর আদালত আদেশ দেন। এসময় আদালত বলেন, অপরাধের সঙ্গে যেই জড়িত হোক না কেন তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।
জানা যায়, গত ৯ ফেব্রুয়ারি বগুড়াতে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি তিনটি মামলা হয়। এরমধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহনের ছোটভাই মশিউল আলম বাদী হয়ে ১০ ফেব্রুয়ারি বগুড়া থানায় মামলা করেন। এ মামলায় যুবলীগের সহসভাপতি মো. আমিনুল ইসলামসহ ৩০ জনের হাইকোর্ট থেকে জামিন নেওয়ার একটি ভুয়া জামিননামা তৈরি করা হয়। বিষয়টি নজরে আসার পর হাইকোর্ট গত ২৪ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে আসামিদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। এ অবস্থায় ওই আসামিরা গত ৩ মার্চ ১৪ জন এবং ৪ মার্চ ১৬ জন বগুড়ার আদালতে আত্মসমর্পন করেন। ওই আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। এরপর তারা হাইকোর্টের অন্য একটি বেঞ্চে জামিন আবেদন করলে গত ১১ মে ওই ৩০ জনকে জামিন দেন। এ অবস্থায় হাইকোর্টে সিআইডির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হলো।