Home সারাদেশ নিজস্ব ঠিকানায় যাচ্ছে উত্তরবঙ্গ জাদুঘর

নিজস্ব ঠিকানায় যাচ্ছে উত্তরবঙ্গ জাদুঘর


বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গ জাদুঘরের নিজস্ব ভবনের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম মোজাম্মেল হক-এমপি। 
উত্তরবঙ্গ জাদুঘরের আয়োজনে বুধবার বিকেলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজের উদ্বোধন করেন তিনি।
 এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম,পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা,বীরপ্রতিক আব্দুল হাই সরকার,কুড়িগ্রাম এলজিইড নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান,কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ মিজার্ নাসির উদ্দিন, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি অ্যাড.আহসান হাবীব নীলু,উত্তবঙ্গ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা পিপি অ্যাড. এসএম আব্রাহাম লিংকন প্রমুখ। 


মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থান সমূহ সংরক্ষণ ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় তিন তলা বিশিষ্ট ভবনে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় দু’কোটি ১৫লাখ ৬৯হাজার টাকা। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এক বছর মেয়াদি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।
 উত্তরবঙ্গ জাদুঘর ২০শতক জমিতে ৭হাজার ৩৩২ বর্গফুটের এই ভবনে সুবিধা থাকবে পানির ঝড়না,লাইব্রেরি কাম ক্যাফেটেরিয়া, জাদুঘর অফিস, সেমিনার হল, ওপেন থিয়েটার, সূর্যালোকের সলিড ছাদ পর্যন্ত, প্রতিবন্ধিদের দর্শনের জন্য র‍্যাম্প,গোলাকার দৃষ্টিনন্দন আর্চ। 
কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার নতুন শহরের নাজিরা ব্যাপারি পাড়ায় নিজ বাড়িতে জাদুঘরটি ২০২১সালে ১২এপ্রিল প্রতিষ্ঠা করেন আইনজীবী এসএম আব্রাহাম লিংকন। 
তার দ্বি-তল বাস ভবনের বসার ঘর,খাবারের ঘর, সেরেস্তা ঘর এমনকি শোবার ঘরেও সাজিয়ে রাখা হয়েছে স্থানীয় ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মারকের দুই হাজারের বেশি প্রামাণ্য দলিল ও নানা উপকরণ। 
জাদুঘরটি দেখতে পদস্থ কর্মকর্তাসহ দেশ ও বিদেশের অনেক গুণী ব্যক্তি এসেছেন বিভিন্ন সময়ে। দীর্ঘ ৯ বছর পর জাদুঘরটি নিজস্ব ঠিকানায় যাচ্ছে। জমিটি দান করেছেন প্রতিষ্ঠাতা নিজেই।
 এর নকশা করেছেন ঢাকার ‘নকশা বিদ’ নামে একটি ফার্মের পক্ষে প্রকৌশলী বায়েজীদ মাহবুব খন্দকার। জাদুঘরটিতে রয়েছে বৃহত্তর রংপুর জেলার পাঁচ হাজার ৮৬৫জন রাজাকারের তালিকা। 
তাদের ক্ষমা প্রার্থনার দলিল, শান্তি কমিটির সদস্যদের তালিকা, রৌমারী রণাঙ্গনে মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহৃত কিছু ডামি রাইফেল, ভূরুঙ্গামারী রণাঙ্গনে পাকিস্তানি বাহিনীর ছোঁড়া বিস্ফোরিত মর্টার শেল, গ্রেনেডসহ গোলার বাক্স এবং নানা দলিল পত্র।