চট্টগ্রাম বন্দর আগের চেয়ে বেশি কর্মক্ষম। আগামীর বন্দর হবে আরও আকর্ষণীয় ও সমৃদ্ধ।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে বন্দর ভবনের সম্মেলন কক্ষে গণমাধ্যমের সাথে মত বিনিময়কালে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল জুলফিকার আজিজ।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে সদস্য ( প্রশাসন ও উন্নয়ন ) জাফর আলম, পরিচালক ( পরিবহন ) এনামুল করিমসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে ৩ মিলিয়ন ক্লাবের অন্তর্ভূক্ত হওয়ার বার্তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো, গত এক বছরের অগ্রগতি এবং বন্দরের বর্তমান অবস্থা অবহিত করতে আয়োজন করা হয় মত বিনিময় সভা।
আরও জানানো হয়, ২০১৮ সালে ২৯ লাখ ৩ হাজার টিইইউস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছিল। সেক্ষেত্রে ২০১৯ সালে হ্যান্ডলিং হয়েছে ৩০ লাখ ৮৮ হাজার টিইইউস। এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি ৬.৩৪ শতাংশ। বন্দরের ৩০ বছর মেয়াদি প্রক্ষাপনকে ছাড়িয়ে গেছে এই প্রবৃদ্ধি।
সাধারণ কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে ১০ কোটি ৩০ লাখ মেট্রিক টন। পুরাতন ইয়ার্ড সংস্কার, নতুন ইয়ার্ড নির্মাণ এবং বিভিন্ন ইকুইপমেন্ট সংগ্রহের ফলে সম্ভব হয়েছে অতিরিক্ত কন্টেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং।
বন্দর চেয়ারম্যান জানান, কন্টেইনার জাহাজ বহির্নোঙরে পৌঁছার একদিন থেকে দু’দিনের মধ্যে ভিড়ে যাচ্ছে। এমনকি দিনে দিনে জেটিতে ভিড়ার রেকর্ডও রয়েছে। সাধারণ জেটি খালি থাকায় সেখানেও ভিড়ানো হচ্ছে কন্টেইনার জাহাজ। ফলে একই সময়ে ১২ থেকে ১৪টি জাহাজে একসাথে কন্টেইনার ওঠানো-নামানো সম্ভব হচ্ছে।
গ্যান্ট্রিক্রেন সংযোজনের ফলে কাজের গতি বেড়েছে প্রচুর। কন্টেইনাার ইয়ার্ড ও ধারণ ক্ষমতা বেড়েছে বন্দরে। ইয়ার্ডে ৫০ হাজারের বেশি কন্টেইনার রাখা সম্ভব হচ্ছে। পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ কাজ চলছে পুরোদমে। বে টার্মিনাল তৈরির প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে।
আরও ১৫টি লাইটার জেটি নির্মাণ করা হবে। লালদিয়া এলাকায় ইনকনট্রেড ডিপোর পাশে ৫টি, হামিদচরে ৬টি, সীতাকুণ্ড এলাকায় ৪টি লাইটার জেটি ও ব্যাকআপ ইয়ার্ড নির্মাণ করা হবে। দেশের পাশাপাশি ভারতের পর্যটন ক্রুজ শিপ পরিচালনার জন্য একটি ক্রুজ টার্মিনাল, একটি মাইনিং টার্মিনাল এবং বন্দর থেকে বে টার্মিনাল পর্যন্ত ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে বলে জানান বন্দর চেয়ারম্যান ।
বিজনেসটুডে২৪