Home সারাদেশ দক্ষিণের সাউথখালীর ৪০ হাজার মানুষের দুর্ভোগ

দক্ষিণের সাউথখালীর ৪০ হাজার মানুষের দুর্ভোগ


মো. নাজমুল ইসলাম সবুজ

বাগেরহাট:বর্ষা মৌসুম এলেই চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয় শরনখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের প্রায় ৪০হাজার মানুষের।

দেশের সর্ব-দক্ষিনে অবস্থিত এ উপজেলাটি ৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। যার আনুমানিক জনসংখ্যা ২লাখ। উপজেলার ধানসাগর, খোন্তাকাটা ও রায়েন্দা ইউনিয়নের যাতায়াত ব্যবস্থা ভাল হলেও দীর্ঘদিন ধরে সাউথখালী ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের রাস্তা গুলোর কোন সংস্কার না হওয়ায় ইউনিয়নটির যাতায়াত ব্যবস্থা একেবারেই ভেঙ্গে পড়েছে। যার ফলে প্রসাশনিক এবং স্বাস্থ্যসেবা সহ নানা সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ওই ইউনিয়নের সাধারন মানুষ।
বর্ষা মৌসুমে উপজেলা সদর থেকে ওই ইউনিয়ন বাসীকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকতে হয়। তবে, উন্নয়নমুখী সরকারের আমলে দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়নটি চরম অবহেলিত থাকায় সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিদের দুষছেন স্থানীয় জনসাধারন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় ৩৫কিলোমিটারের আয়তনের ওই ইউনিয়নটির ১নং সোনাতলা, ৩নং দক্ষিন তাফালবাড়ী, ৮নং চালিতাবুনিয়া, ৫নং উত্তর-সাউথখালী, ৯নং খুড়িয়াখালী, ৬নং দক্ষিন-সাউথখালী এবং ৭নং বগী ওয়ার্ডের জনগুরুত্বপূর্ন একাধিক ব্রীজ, কালভার্ট সহ ১৪/১৫টি সড়ক নুতন করে সংস্কার না হওয়ায় সাধারন মানুষের দুর্ভোগ বেডেই চলছে।
প্রতি বছরের বরাদ্দকৃত এডিপি, টি.আর, কাবিখা ও কাবিটা সহ উন্নয়ন তহবিলের সরকারি বরাদ্দ নয়-ছয় হওয়া সহ জন প্রতিনিধিদের উদাসিনতার কারনে সাউথখালীর যোগাযোগ ব্যবস্থা বহু বছর ধরে ভঙ্গুর অবস্থায় ।
স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও উপজেলা সদরে যাতায়াতের সময় হাঁটু সমান কাদা ভেঙ্গে নারী-পুরুষ, শিশু ও অসুস্থ রোগী নিয়ে চলাচল করতে হয়। সাউথখালী ইউনিয়নের কয়েকজন ইউপি সদস্য বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ ইউনিয়নের রাস্তা-ঘাটের আবস্থা খারাপ। বছরের প্রায় ৬মাস এমন অবস্থা থাকায় এলাকাবাসীর মধ্যে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়।
এডিপি, এলজিএসপি, টিআর-কাবিখা সহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন তহবিল থেকে এ জনকল্যাণ মূূলক কাজ গুলো করার কথা। কিন্তু এই ইউনিয়নের অবস্থা দেখে মনে হয় এ অঞ্চলে সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি ।
তবে, সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোজাম্মেল হোসেন, সাধারন মানুষের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, রাস্তা-ঘাট সহ ইউনিয়নের গুরুত্বপুর্ন স্থাপনা নির্মানের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের পাশাপাশি অনেক দপ্তরে ইতিমধ্যে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এছাড়া গত কয়েক বছরে যে টুকু সরকারি বরাদ্দ পেয়েছি তা সমহারে সব ওয়াডে বন্টন করে দিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, ইউনিয়নটির জনসাধারনের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।