Home Third Lead বিনিয়োগকারীদের ৬৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ

বিনিয়োগকারীদের ৬৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

ঢাকা: বিনিয়োগকারীদের ৬৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্য প্রতিষ্ঠান বানকো সিকিউরিটিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে।

প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকদের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের ব্যাপারে মতিঝিল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ।

বানকো সিকিউরিটিজের সব ধরনের শেয়ার লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে।

ডিএসই কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা যে, বাংকো সিকিউরিটিজের মালিকপক্ষ বিনিয়োগকারীদের বিপুল পরিমাণ অর্থ ও শেয়ার আত্মসাৎ করে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে পারে। অভিযোগ এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে ডিএসই।

মতিঝিল থানায় দায়ের করা সাধারণ ডায়েরিতে ডিএসই জানিয়েছে, গত ৬ মে ও ৬ জুন সিকিউরিটি আইনকানুন লঙ্ঘনের মাধ্যমে ডিএসইর লেনদেন নিষ্পত্তি করতে ব্যর্থ হয় বানকো সিকিউরিটিজ। এমন পরিস্থিতিতে গত ৭ জুন ব্রোকারেজ হাউজটিতে বিশেষ পরিদর্শন করে সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে ৬৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকার ঘাটতি পান ডিএসইর কর্মকর্তারা। ঘাটতি সমন্বয় করতে বলা হলেও ব্রোকারেজ হাউজের মালিকপক্ষ ব্যর্থ হয়। স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা ওই অর্থ বানকো সিকিউরিটিজের মালিকপক্ষ আত্মসাৎ করেছে।

গত বছরও বিনিয়োগকারীদের শতকোটি টাকার শেয়ার ও অর্থ নিয়ে পালিয়ে যান ডিএসইর ব্রোকারেজ হাউজ ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের মালিক মো. শহিদ উল্লাহ। সে সময় ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ ও এর মালিকের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা ছাড়াও দেশ থেকে যাতে পালিয়ে যেতে না পারেন, সে জন্য পুলিশের সহযোগিতা নেয় ডিএসই। কিন্তু এক বছরেরও বেশি সময় পার হলেও এখন পর্যন্ত বিনিয়োগকারীরা তাদের পাওনা অর্থ ফেরত পাননি। এর আগে শাহ মোহাম্মদ সগীর, সাদ, ডন সিকিউরিটিজসহ অন্তত ছয়টি ব্রোকারেজ হাউজ বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাৎ করে। অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় মামলা দায়ের হলেও তা নিষ্পত্তি না হওয়ায় দীর্ঘ সময়েও বিনিয়োগকারীরা তাদের পাওনা অর্থ ফেরত পাননি। এমন পরিস্থিতিতে ঘটলো বানকো সিকিউরিটিজে গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ।