ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত মজনু (৩০) পেশাদার ছিনতাইকারী ও সিরিয়াল রেপিস্ট।
রাজধানীর শেওড়া রেল ক্রসিং এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ দুপুরে কাওরানবাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
ব্রিফিংয়ে র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেনেন্ট কর্নেল সরওয়ার বিন কাসেম জানান, গ্রেপ্তার মজনু একজন সিরিয়াল রেপিস্ট। আগেও সে একাধিকবার এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। মাদক সেবন, ছিনতাই ও চুরি তার নিত্যদিনের কাজ।
মজনুর বাড়ি নোয়াখালীর হাতিয়ার জাহাজমারায়।
স্পর্শকাতর এই ঘটনাটি জানার পর থেকে র্যাবের একাধিক টিম মাঠে নামে। ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় করা মামলার ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় প্রথমে ভিকটিমের মোবাইল ফোনটি খায়রুল নামের এক রিকশা চালকের কাছে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় সে মোবাইলটি অরুনা নামের এক নারীর কাছ থেকে কিনেছে। এরপর র্যাব অরুনাকে খোঁজে বের করে। অরুণা র্যাবকে জানায় মোবাইলের ডিসপ্লে ভাঙা অবস্থায় সে মোবাইলটি মজনু নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে কিনেছে। র্যাব তখন অরুণার কাছ থেকে মজনুর চেহারার বর্ণনা নিয়ে ভুক্তভোগীর দেয়া বর্ণনার সঙ্গে মিলিয়ে নিশ্চিত হয় মজনু এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে। পরে অভিযান চালিয়েছে মজুনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাবের প্রাথমিকভাবে মজনু স্বীকার করেছে, ওই শিক্ষার্থীকে একাই ধর্ষণ করেছে। কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে নামার পর থেকে সে তাকে অনুসরণ করেছিল । তখন মাদকাসক্ত ছিল মজনু। একপর্যায়ে সে ভুক্তভোগীর গলা টিপে ধরে তুলে নিয়ে যায় পাশের নির্জন স্থানে। সেখানে তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। ভুক্তভোগীকে সে একাধিকবার কিল, ঘুষি ও লাথি দেয়। এমনকি তাকে হত্যার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করে। তবে অজ্ঞান করার জন্য কোনো ক্লোরোফর্ম ব্যবহার করে নি।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে মজনু স্বীকার করে, ১০ বছর আগে ঢাকায় আসার পর তার স্ত্রী মারা যায়। তার দুই বছর আগে ট্রেন থেকে পড়ে তার দুটি দাত ভেঙে যায়। এরপর সে আর কোনো বিয়ে না করে চুরি, ছিনতাইসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িয়ে যায়। ছিনতাই করতে গিয়ে মানুষের ব্যাগ মোবাইল ফোন কেড়ে নিত। আর সুযোগ পেলেই সে নারীদের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালাত। সে একাধিক ভিক্ষুক ও প্রতিবন্ধি নারীকে ধর্ষণ করেছে।
বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক