খুলনা থেকে চন্দন ভট্টাচার্য্য জানান: ১৩০ শয্যার খুলনা করোনা হাসপাতাল ও গাজী মেডিকেল হাসপাতালে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার সকাল ৮টা থেকে রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১১ এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
খুলনা করোনা হাসপাতালের ফোকালপারসন ও খুমেক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ছয়জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে এবং একজন উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত ছয়জন হলেন খালিশপুরের ইদ্রিস আলী (৫৮), বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের মকলেচুর রহমান (৭৬) ও মোংলার আলী আকবর (৫৫), যশোরের মণিরামপুরের আম্বিয়া (৪০) ও ঝিকরগাছার নাসিমা (৪৫) এবং মাগুরার মহাম্মদপুরের বিকাশ কুমার (৫০) ।
তিনি আরও জানান, সকাল ৮টা পর্যন্ত হাসপাতালে ১৫৯ জন রোগী ভর্তি ছিল। যার মধ্যে রেডজোনে ৯৮ জন, ইয়ালোজোনে ২৫ জন, এইচডিইউতে ২০ জন এবং আইসিইউতে ১৮ জন চিকিৎসাধীন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৫২ জন। এ সময় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৬ জন।
গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্বত্বাধকিারী ডাঃ গাজী মিজানুর রহমান জানান, ২৪ ঘন্টায় করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন নগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকার সেলিনা বেগম (৫২), বাহেরহাটের ফকিরহাটের মলিক আবু নাসের (৫০), চুয়াডাঙ্গার দামুরহুদার মোঃ সিরাজুল হক (৬২), নড়াইলের লক্ষিপাশার পারভীন আক্তার (৩৭), ও যশোরের রোজিনা (৬৫)। বর্তমানে ৭০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
শনাক্ত : খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর মেশিনে ৪৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১১১ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে বলে নিশ্চিত করেন উপাধ্যক্ষ ডাঃ মেহেদী নেওয়াজ।
তিনি আরও জানান মোট নমুনার মধ্যে খুলনার ৩১৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ৮০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া বাগেরহাটে ১৯ জন, যশোরে চারজন, সাতক্ষীরায় একজন, নড়াইলে দুইজন, ঝিনাইদহের একজন, পিরোজপুরের দুইজন ও গোপালগঞ্জের দুইজন রয়েছে।
খুলনা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডাঃ শেখ সাদিয়া মনোয়ারা ঊষা জানান, রবিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় খুলনা জেলা ও মহানগরীতে নতুন করে ২২৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ সময় ৭৯৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। খুলনায় মোট নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৭.৯৪ শতাংশ। এ সময়ে খুলনা জেলায় মৃত্যু হয়েছে দুই জনের।